সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীনরা মিথ্যাচার করে জিয়াউর রহমানকে খাটো করার অপচেষ্টা করছে।
রোববার (১৬ আগস্ট) দুপুরে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল আলোচনা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখবেন, এই দেশের স্বাধীনতা যিনি ঘোষণা দিলেন, যিনি যুদ্ধ করলেন, একই সঙ্গে যিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সেই জিয়াউর রহমানের নামে মিথ্যা কথা বলে তাকে খাটো করার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীনরা। আসলে আওয়ামী লীগের যে কেমেস্ট্রি, এই কেমেস্ট্রিটা হচ্ছে দলীয়করণের কেমেস্ট্রি। ওখানে নিরপেক্ষতা অথবা দলের বাইরের যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করা এটা তাদের মধ্যে নেই। আজকে গোটা রাষ্ট্রকে দলীয়করণ করে ফেলেছে তারা। এটা তাদের আদর্শগত, নীতিগত বলব। কারণ ১৯৭৫ সালে তারা একদলীয় শাসন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। আমরা তো সেগুলো ভুলে যাইনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই সময়ে খেলাধুলা বলুন, গান-বাজনা বলুন আর রাজনীতিই বলুন, কোনোটাই দলীয়করণের বাইরে নয়। আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম, সেই চেতনাটি ছিলো গণতান্ত্রিক চেতনা, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করার চেতনা, গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ করবার চেতনা, সেই চেতনাকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি।’
ফখরুল বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে এক অনুষ্ঠানে কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীনের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, তার স্বামী যিনি অনেক ভালো বাঁশি বাজান হাকিম সাহেবের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। তারা খুব দুঃখ করে বললেন- এখন আর সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে অথবা সরকারের পক্ষ থেকে স্পন্সর করা টেলিভিশনগুলো তাদেরকে ডাকে না। কী নিদারুণ অবস্থা চিন্তা করেন।’
ঠিক একইভাবে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাদের মধ্যে যারা আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন না, তাদের মরদেহ এখন শহীদ মিনারে নিয়ে যেতে দেয়া হয় না।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম জোরদার করতে হবে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হকের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা, ক্রিকের্ট বোর্ডের সাবেক সহসভাপতি শাহ নুরুল কবির শাহিন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।