দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণ ও সকল গণতান্ত্রিক দলের ‘ইস্পাত কঠিন ঐক্য’ প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (বিএনআরসি) উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়।
মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে সারা পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিকে ধ্বংস করে দিয়ে একটি গোষ্ঠীর স্বার্থে কী অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, কী রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, কী সামাজিক ক্ষেত্রে এটা চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশে কী হচ্ছে? আজকে বাংলাদেশে যে বৈষম্য, মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভোটের অধিকার হরণ, সংবাদপত্র-মত-ব্যক্তির স্বাধীনতা সব কিছু হরণ করা হয়েছে। আজকে বাংলাদেশ জনগণ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না, এদেশে এখন আওয়ামী লীগ ও তার সুবিধাভোগী শ্রেণির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই সরকার গণতন্ত্রের সব কিছুকে হরণ করেছে। তাই এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণ ও সকল গণতান্ত্রিক দলের ‘ইস্পাত কঠিন ঐক্য’ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, আজকে কোনো কিছুই নেই। মানুষের যে মৌলিক অধিকার তাকে তারা (আওয়ামী লীগ) নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।
অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকতে তারা ২০১১ সালে সংবিধানে সংশোধনীর যে পাস করছে তার চতুর্থ সংশোধনীর চেয়েও খারাপ বলব আমি। জনগণের ক্ষমতার উৎস কে তারা এই সংশোধনীর মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। তারা জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে মুক্ত করলে গণতন্ত্রের মুক্তি আসবে। কিন্তু সেই মুক্তি করতে হলে আমাদেরকে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। কি করে আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে রাস্তায় নামতে পারবো, আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন ছাড়া আমাদের অন্য কোনো বিকল্প আছে নেই। আমরা নিশ্চিত এই ব্যাপারে সকলে একমত।
বিএনআরসি‘র পরিচালক জহির উদ্দিন স্বপনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।