তথ্যমন্ত্রী হলেন জিয়া পরিবারের সমালোচনা বিষয়ক মন্ত্রী: নজরুল ইসলাম

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-27 06:03:18

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে জিয়া পরিবারের সমালোচনা বিষয়ক মন্ত্রী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, আগেও যিনি তথ্য মন্ত্রী ছিলেন, এখন যিনি তথ্যমন্ত্রী আছেন তাদেরকে আমরা বলি, তারা হলেন জিয়া পরিবারের সমালোচনা বিষয়ক মন্ত্রী। তারা তাদের ডিপার্টমেন্ট নিয়ে যত কথা বলেন তার থেকে বেশি কথা বলেন শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে, বেগম খালেদা জিয়ার বিপক্ষে এবং তারেক রহমানের বিপক্ষে। মনে হয় এটাই যেন তাদের মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের নিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পার্ঘ ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে, আগামী দিনের লড়াই-সংগ্রামে তারা সামনের কাতারে থেকে লড়াই করার শপথ নিয়েছে। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যাতে স্বেচ্ছাসেবক দল তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, দেশ-বিদেশের সবাই জানে তার এখন সুচিকিৎসার প্রয়োজন। এ নিয়ে কারো মনে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কোভিড চলাকালে বিমান পরিবহন বন্ধ, কেউ কারো সঙ্গে দেখা করতে পারে না। এমন সময়ে তাকে তার বাসায় থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বাসায় থাকার অনুমতি দেয়ায় তার মানসিক অশান্তি কিছুটা কমেছে। কিন্তু তার চিকিৎসার বিষয়টা যেটা শুধু মানবিক নয়, এটা নৈতিক এবং জনগণের দাবি, কেউ একজন অসুস্থ হলে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দরকার। এ কারণে যদি দরকার হয়, চিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে যেতে হতে পারে। এ ব্যাপারে আবেদন করা হলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা অর্থমন্ত্রী সাহেবকে বলব, খালেদা জিয়ার মুক্তি কিংবা কারাবন্দির সঙ্গে অন্য কোনো কিছু যুক্ত করা ঠিক হবে না। কারণ এটা অসুস্থতার বিষয়, চিকিৎসার বিষয়, রাজনীতির বিষয় নয়। কাজেই আমাদের রাজনীতির সঙ্গে তার সুচিকিৎসার বিষয় সম্পৃক্ত করা এক ধরনের অপরাজনীতি। এজন্য আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলব, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হোক। যদি একান্তই প্রয়োজন হয়, তিনি যদি মনে করেন তার চিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়া দরকার, তাহলে তিনি যেন যেতে পারেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু।

এ সম্পর্কিত আরও খবর