বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেই যেন সরকার ও আওয়ামী লীগের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অসুস্থ থাকায় দপ্তরের দায়িত্ব পালন করছেন প্রিন্স।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন-আগামী ১২ নভেম্বর জাতীয় সংসদ ঢাকা-১৮ এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আওয়ামী দুঃশাসন বিরোধী গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি এই উপ-নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তারা বিএনপি-কে যেমন ভয় পায় তেমনি জনগণের অংশগ্রহণে উৎসবমূখর পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকেও ভয় পায়। তারা জানে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তাদের ভরাডুবি সুনিশ্চিত। সেজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে ধ্বংস করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে নির্বাচনকে ব্যর্থ করে দিতে চায়।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, গতকাল রাজধানীর কলাবাগানে মিডনাইট নির্বাচনের এক সংসদ সদস্যের ছেলে ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা সশস্ত্র বাহিনীর এক কর্মকর্তা ও তাঁর সহধর্মীনির ওপর হামলা, তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত করেছে। আমরা এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি। এই সরকারের লোকদের ক্ষমতার দাপটে দেশের কোন শ্রেণী-পেশার মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও সম্মান নেই। কক্সবাজারের ওসি প্রদীপ কর্তৃক সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার হত্যা, সিলেটে পুলিশী হেফাজতে রায়হান হত্যাসহ এ ধরণের ঘটনা এখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শারদীয় দুর্গাপুজার প্রাক্কালে ফরিদপুরের বোয়ালমারি, পটুয়াখালীর বাউফল এবং সম্প্রতি গাজীপুরে মন্দির ও পুজামন্ডপে হামলা ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটেছে চাঁদাবাজীর ঘটনা। এর আগেও মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায় এধরণের হামলা সংঘটিত হয়েছে। অবিলম্বে হামলাকারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি।