'বিএনপির একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চায়'

, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-24 22:31:24

বিএনপির একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের নির্মাণ করতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বিএনপির গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায়, গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চায়। বিএনপির মানুষের অধিকারগুলোকে ফিরিয়ে আনতে চায়। আমরা সব সময় বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্নে দেখেছি। এখানে সমাজ হবে গণতান্ত্রিক, একটি মুক্ত সমাজ থাকবে। মানুষ সুযোগগুলো পাবে, যার মাধ্যমে সে নিজেকে বিকশিত করতে পারবে। যার যতটুকু সৃজনশীলতা আছে সে সেটাকে কাজে লাগাতে পারবে। কিন্তু দিন দিন সেই গণতন্ত্রকে হরণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এই সরকার।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'মিট দ্য রিপোর্টার্স' অনুষ্ঠানে এসে তিনি এ কথা জানান।

ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। যে সমাজ নির্মাণের কথা ছিল তা এখন অনুপস্থিত। আমরা গত ১০-১১ বছর ধরে এই কথা বলছি। ধীরে ধীরে গণতন্ত্রের স্পেস ধ্বংস করা হয়েছে। মূলত ওয়ান-এলিভেনের থেকে বাংলাদেশে একটি বিরাজনীতিকরণ শুরু হয়েছে। তখন মাইনাস ফর্মুলা হয়। বাংলাদেশের প্রধান যে দুই নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাদেরকে সরিয়ে ষড়যন্ত্র হয়। যারা এই চক্রান্ত করছিল, যারা এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে, পরবর্তীতে তারা মাইনাস ওয়ানে চলে আসে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সবসময় একটা প্রবলেম ছিল। এই নির্বাচন ব্যবস্থাকে সুস্থ করার জন্য অনেকেই কথা বলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের যে পলিটিকাল কালচার তৈরি হয়েছে সেই পলিটিকাল কালচারে দেখা গেছে, যে ক্ষমতায় থাকে সব সময় সে নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েই পুরো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করে।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সুপরিকল্পিতভাবে তত্তাবোধক সরকার বিধান বাতিল করেছে। যদিও সকল রাজনৈতিক দল তত্তাবোধক সরকার চেয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা এটি করেনি। তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়।

তখন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিল এই ব্যবস্থাটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়ে দাঁড়ালো।

গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার বললেন, এই নির্বাচন এতো ভালো যে আমেরিকাকে তাদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। আমেরিকা নাকি ৪-৫ দিনের ফলাফল দিতে পারেনা তারা সেই ফলাফল ৪-৫ মিনিটে মিনিটে দিতে পারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাছ থেকে এ ধরনের হাস্যকর কথা আসতে পারে আমরা তা কল্পনাও করতে পারি নাই। এ থেকে বোঝা যায় আমাদের গণতন্ত্র ব্যবস্থা কোথায়? নির্বাচন ব্যবস্থা কোথায়? রাষ্ট্রে কিভাবে চলছে? এই কথাগুলো দিয়ে কিন্তু বোঝা যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর