আগুন সন্ত্রাস মেনে নেয়া যায় না: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি, রাজনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 15:21:42

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আগুন সন্ত্রাস মেনে নেয়া যায় না। গত ১২ নভেম্বর কারা বাসে আগুন দিয়েছে তা বের করতে হবে। সরকার বিএনপিকে দোষ দিচ্ছে, আবার বিএনপি বলছে তারা দায়ী নয়।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন, কোনো মতেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেয়া যাবে না। আগুন সন্ত্রাস প্রতিরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আস্থা ও নিরাপত্তাহীনতার মাঝে মানুষের কাছে আস্থার রাজনৈতিক শক্তি হচ্ছে জাতীয় পার্টি। দেশের মানুষ চায় জাতীয় পার্টি আরও শক্তিশালী হয়ে মানুষের কল্যাণে দায়িত্ব গ্রহণ করুক। দেশের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রথম বা দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে টিকে থাকতে চায়। জাতীয় পার্টি মানুষের প্রত্যাশা পূরণের সংগ্রাম এগিয়ে নিতে রাজনীতি করছে। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের প্রধান হিসেবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অনেক সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছেন। ঔপনিবেশিক প্রথা ভেঙে উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তন করেছেন। ওষুধ নীতি করে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পকে রপ্তানিমুখী শিল্পে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এরশাদের স্বাস্থ্যনীতি ও শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা করে এরশাদের সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডকে বিতর্কিত করতেই তাকে স্বৈরাচার বলা হয়েছে। দেশের মানুষ এখন উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন, এরশাদই প্রকৃত দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন।

জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, এরশাদ ঘোষণা করেছিলেন, জাল যার জলা তার। প্রান্তিক জেলেদের জীবন মান উন্নয়নে অসাধারণ উদ্যোগ বাস্তবায়িত করেছিলেন। এখন গ্রামাঞ্চলের ছোট্ট ছোট্ট জলাশয়ও ক্ষমতাসীনদের দখলে। আবার গ্রাম্য বাজারে মাছ বিক্রি করতেও ক্ষমতাসীনদের টোল দিতে হয়, এটা সভ্য সমাজে বেমানান।

তিনি বলেন, দেশ থেকে ১ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। কিন্তু সরকার পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরত আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে না। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের স্পৃহা কাজ করলে, গণমানুষের জন্য ভালোবাসা তৈরি হয় না। দেশের মানুষ ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। দেশের মানুষ আর ভোট কেন্দ্রে যেতে চায় না, গণতন্ত্রের স্বার্থেই মানুষকে ভোটের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।

জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টির সভাপতি আজাহার সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব (রংপুর বিভাগ) ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব (চট্টগ্রাম বিভাগ) অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য এমরান হোসেন মিয়া, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. নুরুল আজহার শামীম, সরদার শাহজাহান প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন দপ্তর সম্পাদক-২ এম.এ. রাজ্জাক খান।

নারী উদ্যোক্তা ও নারী সংগঠক রোকসানা মিনা, সৈয়দা সোহেল সুলতানা, রুমা কবির সোনিয়া, শারমিন সুলতানা, পারভীন হোসেন, আনোয়ার সিদ্দিকা, তাওফিকুন নেসা লাকী, নাজনীন সুলতানা, তাসলিমা রুমি, মোছা. হ্যাপি, বিউটি আক্তার, বিথি সহ শতাধিক নারী সংগঠক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে তার দলে যোগদান করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর