নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না উল্লেখ করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি জনগণের ভালোবাসায় টিকে থাকবে।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মানব সেবা সংঘের উদ্যোগে ‘ছাত্র-শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রিজভীর ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি সঞ্জয় দে রিপনের সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া পাঠান পাপনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, বিএনপির মীর হেলাল, রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সাজিদ হাসান বাবু, আমিনুর রহমান আমিন প্রমুখ।
রিজভী বলেন, সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রথমে মামলা দিচ্ছে। এতে কাজ না হলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে। ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করছে, গুম করছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থায়-ই কাজ হচ্ছে না। বিএনপি জনগণের দল, বিএনপির স্থান তাদের হৃদয়ে। সুতরাং জনগণের ভালোবাসায় বিএনপি টিকে থাকবে।
তিনি বলেন, সরকার বন্দুকের নল দিয়ে সাময়িকভাবে জনগণকে বন্দি করে রেখেছে। কিন্তু এভাবে বেশিদিন তাদেরকে দমিয়ে রাখা যাবে না। তারা জেগে উঠছে। দুঃশাসনের অবসান হবেই।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনো কারামুক্ত হননি। তথাকথিত মুক্তির নামে তাকে গৃহ-অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। তার সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। অনুষ্ঠানে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৪ সালের ২২ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন রিজভী।