গণতন্ত্র হত্যা দিবসে উপলক্ষে এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে সারা দেশে মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এসব কর্মসূচিতে পুলিশের সাথে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয় দলটির নেতা-কর্মীদের। এতে দলের ৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে উল্লেখ করে এ দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অব্যাহত গতিতে গ্রেফতারের মাধ্যমে সমগ্র দেশে পুলিশি রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে গণতন্ত্র, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ও আইনের শাসনের কোন মূল্য নেই। দেশে করোনা সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগ নয়, বরং বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার ও তাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে গায়ের জোরে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখাকেই সরকার তাদের প্রধান কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য হু হু করে বাড়ছে, অথচ সেদিকে সরকারের কোননো ভ্রুক্ষেপ নেই, কিন্তু বিরোধী দলের কর্মসূচির ওপর হামলা ও নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করতে সরকার যেন সদা তৎপর। এরই ধারাবাহিকতায় আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এবং দেশব্যাপী বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হামলা চালিয়ে আহত করেছে পুলিশ। বর্তমান সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে এই গ্রেফতারের হিড়িকে দেশে সম্পূর্ণভাবে নাৎসীরাজ কায়েম হয়েছে। সরকারের আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনী কর্তৃক নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার অপকর্মটি যেন সরকারের চিরস্থায়ী কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।