কাদের মির্জার ভাই ও ছেলের নেতৃত্বে গুলি: উপজেলা আ.লীগ

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ,বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী | 2023-08-21 18:55:54

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরীকে (৬৬) ওপর হওয়া হামলা পৌর মেয়র কাদের মির্জার নির্দেশে তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দ ফেসবুক লাইভে এসে এ অভিযোগ করেন। ফেসবুক লাইভে উপজেলা আ.লীগের পক্ষে থেকে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো.মিজানুর রহমান বাদল।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান আজম পালা চৌধুরী রুমেল, উপজেলা আ.লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়দল হক কচি প্রমুখ।

ফেসবুক লাইভে মিজানুর রহমান বাদল অভিযোগ করে বলেন, আজ সকালে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে কাজ শেষ করে বসুরহাট বাজারে যাওয়ার পথে কাদের মির্জার ভাই সাহাদাত হোসেন ও তার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে কাদের মির্জার নির্দেশে এই আ.লীগ নেতাকে নৃশংস ভাবে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার পায়ের নিচে গুলি করা হয়। তার হাঁটু ভেঙে চুরমার হয়ে নিচের দিকে ঢেবে গেছে। কাদের মির্জা কয়েক দিন আগে ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা আ.লীগের নেতৃত্বে যারা আছে তাদেরকে যেখানে পাবে সেখানে হাঁটুর নিচে ভেঙে ফেলবে, চুরমার করে ফেলবে। তার সেই দিক নির্দেশেনা অনুয়ায়ী গতকাল রাত থেকে আমাদের নেতাদেরকে হত্যা করার মিশনে নেমেছে। মানুষের কারণে নুরনবী চৌধুরী প্রাণে রক্ষা পেয়েছে, নয়তো সে প্রাণে রক্ষা পেত না। নুরনবী চৌধুরীরর হামলার খবর শুনে বসুরহাট বাজারে আসার পথে আ.লীগ নেতা স্বপনের ওপর কাদের মির্জার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে নৃশংস ভাবে হামলা করা হয়েছে। উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী ও আ.লীগ নেতা স্বপনের ওপর হামলার বিচার যদি আজকে দিনের মধ্যে,না করা হয়, তা হলে কোম্পানীগঞ্জের আপামর জনতাদের নিয়ে রাজ পথে নেমে আমরা এটার বিচার করব। প্রধানমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদের ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেন অনতিবিলম্বে এটার সমাধান হয়। যেন সন্ত্রাসীদের সঠিক বিচার হয়। না হলে আমরা প্রতিরোধ করতে আসলে অনেকে আমাদেরকে খারাপ বলবে।

অপরদিকে, এ ঘটনার পর দুপুর ২টার দিকে কাদের মির্জা তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে দাবি করেন, আজকে সকাল বেলা সিরাজপুরের এক কুলাঙ্গার তথাকতিথ চেয়ারম্যান। যে মানুষের শালিসের নামে বাড়ির ভিটি পর্যন্ত বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছে। যে গরীব অটোরিকশার ড্রাইভারদের আমি আড়াই হাজার টাকা করে অটো রিকশার ল্যাইন্সেস দিয়েছি। সে প্রত্যেকটা লাইসেন্স এ ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছে। তারপরে ভিজিডি, ভিজিএফ,বয়স্ক ভাতা, বিধাব ভাতা থেকে টাকা নিয়েছে। স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদের কাছ থেকে সে টাকা নিয়েছে। তারপরে প্রাইমারি স্কুরের ২টা পিয়নের চাকরি দিতে সে টাকা নিয়েছে। এমনি ভাবে এলাকায় লুটপাট করছে। গত কয়েক দিন আমি শুনতেছি, তারা টাকার জন্য তাকে ধরবে। তারা এ অবস্থায় হইছে টাকার জন্য। এখন টাকার জন্য তাদের সাথে মারামারি হইছে। এখন এটা আমার ওপর আমার কর্মিদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর