আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে দেশের জনগণ কোনদিন ঠকেনি, আগামীতেও ঠকবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সময়বায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে দেশে মৌলিক চাহিদাসহ দেশের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন শুরু হয়েছিল। তারপর ২০০১ সালে একটি ভুলে দেশ পিছিয়ে যায়। দেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ শুরু হয়। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে লুটপাট করে দেশকে শত বছর পিছিয়ে দেয়। ২০০৮ সালের ও ২০১৪ সালে পরপর দু’দফা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসায় দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। দেশের উন্নয়ন চাইলে আগমীতেও আবারো আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে হবে।
শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার খলিল মন্ডলের হাঠ স্কুল মাঠে চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ফরিদপুরে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকতে উন্নয়ন তো দূরে থাক সাধারণ মানুষ দিনদুপুরে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের অত্যাচারে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেনি। আর এখন গভীর রাতে মা বোনেরা পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় ঘুরে ফিরে আনন্দ করে।
চরমাধব দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তুহিনুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্না হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আক্কাস হোসেন, কোতয়ালী আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন মৃধা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, সাধারণ সম্পাদক বরকত ইব্নে সালাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জনসভা শেষে মন্ত্রী সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সরকারের ৪র্থ উন্নয়ন মেলা পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া, পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন খান, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।