বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তরিত করা হলেও তিনি এখনো ঝুঁকিমুক্ত নন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৪ জুন) সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় ফখরুল বলেন, একমাস সিসিইউতে থাকার পর বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকালে খালেদা জিয়াকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তবে এখনো একেবারেই উনি যে সুস্থ হয়ে গেছেন তা নয় কিন্তু। তার (খালেদা জিয়া) হার্ট, কিডনি, ফুসফুস ঝুঁকির মধ্যে আছে। যদিও তার ফুসফুসে সংক্রমণ নেই বা সেই ধরনের কোনো ইনফেকশনও নেই। কিন্তু তার হার্টে এখনো সমস্যা আছে, কিডনিতেও সমস্যা আছে।
বিশেষ কেবিনে কেনো স্থানান্তর করা হয়েছে তার কারণ ব্যাখ্যা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডাম সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) ছিলেন। সেখানে তার কোভিড পরবর্তীতে কতগুলো রিঅ্যাকশন হয়েছিলো। একটি রিঅ্যাকশনের কারণে তার রক্তে কিছুটা ইনফেকশন হয়েছিলো। যেটাকে সিস্টোফেনিয়া বলে। আল্লাহর রহমতে ডাক্তাররা ইনফেকশনটাকে দূর করতে সক্ষম হয়েছে। যেহেতু সেখানে (সিসিইউ) সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি, তাই উনাকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল পোস্ট কোভিড জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে। এছাড়া গত ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দুই নল স্থাপন করে তার ফুসফুসের পানি অপসারণ করা হয়। গত সপ্তাহে দুই নলই খুলে ফেলার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হলো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. শামসুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার প্রমুখ।