২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মামলায় আদালতের রায়ে ‘পুরোপুরি’ সন্তুষ্ট না হওয়ার উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এ রায়ে অখুশি নই; তবে পুরোপুরি সন্তুষ্টও নই। আমরা ন্যায়বিচার চেয়েছি। আমরা বিচারকে কখনো প্রভাবিত করিনি। আমরা মনে করি- এটি ভাল রায়। আদালতকে ধন্যবাদ জানাই, তবে আমরা উচ্চআদালতে আপিল করব।’
তিনি বলেন, ‘১৬৪ ধারায় মুফতি হান্নান বলেছিলেন, তারেক রহমানের অনুমতি নিয়েই তারা হামলা করেছিলেন। আমরা তারেক রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করেছিলাম।’
কাদের আরও বলেন, ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল রাষ্ট্রীয় মদদে সরকারি জঙ্গি হামলা।ওই সময়ে দায়িত্বরত সেনা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের ভাষ্য থেকে একথা পরিষ্কার খালেদা জিয়া এ হামলা সম্পর্কে অবগত ছিলেন। আমরা খালেদা জিয়ারও বিচার দাবি করছি।’
তিনি বলেন, ১৪ বছর পর ইতিহাসের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার মামলার রায় দিয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর এমন জিঘাংসামূলক ঘটনা আর ঘটেনি।
গ্রেনেড হামলায় নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যা বলেন তা দেশের মানুষের হাস্যকর বলে মন্তব্যও করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল যা বললেন; তা দেশের মানুষের কাছে হাস্যকর । কেন আপনারা আলামত নষ্ট করলেন? কেন ধুয়ে মুছে সব পরিষ্কার করে ফেললেন? বিচারপতি জয়নাল আবেদিন তদন্তের নামে কি তামাশা করেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, আহমদ হোসেন, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।