আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসাথে চলতে পারে না মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ১৯৭৫ সালে ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। আর জিয়াউর রহমান বাকশাল নিষিদ্ধ করে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতি অবমুক্ত করে আওয়ামী লীগের পুনর্জীবন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ জিয়ার অবদানকে যারা অস্বীকার করে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতায় বিশ্বাস করে না। কেননা জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি একজন সেক্টর কমান্ডার হিসেবে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে স্বাধীনতার সূর্যোদয় ঘটিয়েছেন।
বুধবার (৯ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টি উদ্যোগে শহীদ জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ডা. ইরান বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক চর্চা করতে ভয় পায়। তারা একদলীয় বাকশালী কায়দায় ২০০৯ সালে মঈন-ফখরুদ্দিনের সাথে চক্রান্ত করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে দেশের অর্থসম্পদ পাচার ও লুটপাটের মাধ্যমে অর্থনীতিকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। আইন-শৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনকে দলীয় বাহিনী হিসেবে তৈরি করে মৌলিক মানবাধিকার হরণ করেছে। তাই দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করতে হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ লেবার পার্টির সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হুমাউন কবির, আবদুর রহমান খোকন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা জাকির হোসেন ও ছাত্রমিশন সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।