বরগুনা সদর উপজেলার ৫ নম্বর আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থীসহ তার সমর্থকদের ওপর বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারফ হোসেন তার সমর্থকদের নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এসময় নৌকা সমর্থকদের ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার (১২ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ৫ নম্বর ইউনিয়নের নয়া বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বর্তমান চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে রামরা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন নৌকার প্রার্থী এম মুজিবুল হক কিসলু। হঠাৎ নয়া বাজার এলাকায় তাদেরকে ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছেনা, টেটা, বল্লম নিয়ে হামলা চালায় মোশাররফ হোসেন ও তার সমর্থকরা। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় ১৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও দুটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আক্রমণকারীরা নৌকা মার্কা সমর্থক মজনু ও হেলাল শরীফের মাথায় এলোপাতাড়ি কোপ দেয় এবং টেটা নিক্ষেপ করে। মজনু ও হেলালকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এদিকে বেলা তিনটার দিকে সদর থানা-পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যাতে কেউ জীবন নিয়ে পালাতে না পারে তাই হামলা চালানোর আগে নয়াবাজার ব্রিজের স্লিপার উঠিয়ে ফেলে হামলাকারীরা।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, এ হামলায় ৩০ জন আহত হয়েছে। আমিও আহত হয়েছি। পুলিশ আমাদের উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন অফিসেও লিখিত অভিযোগ করব।
তিনি আরও জানান, গত ৮ জুন থেকে প্রতিদিন তার সমর্থকদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করছে মোশাররফ হোসেন ও তার সমর্থকরা। এই কয়েক দিনের সহিংসতায় তার ৪৬ জন কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ জনের অবস্থা গুরুতর।
বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে ও ঘটনার সত্যতা মিলেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।