বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, করোনা নিয়ে দেশে রাজনীতি হচ্ছে। এই করোনা নিয়ে ব্যবসায়িক রাজনীতি হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় রাজনীতি হচ্ছে। জাতীয় রাজনীতি হচ্ছে। আমরা করোনা নিয়ে কোনো রাজনীতি করতে চাই না।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর গোরানে ফ্রেন্ডস কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা-১০ আসনের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে ‘করোনা হেল্প সেল’ এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, আর করোনা নিয়ে রাজনীতি নয়, টিকা নিয়ে রাজনীতি নয়। আমি আজকে আহ্বান জানাব, আসুন সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করে এই করোনাকে প্রতিহত করি। অন্যান্য দেশের মতো আমার দেশে কিন্তু খুব খারাপ অবস্থা হয় নাই। আর যেন খারাপ অবস্থা না হয়। আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব যে ভেবে-চিন্তে দেখেন। মানুষকে মরতে দেয়া যাবে না। শুধু লকডাউন দিলে শেষ হয়ে যাবে না, লকডাউনে দিয়ে গরিব মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।
টিকা সংগ্রহে বিলম্বের প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আমাদের টিকা দিতে এতো দেরি হলো কেন, এতো দেরিতে শুরু হলো কেন? কেন ভারতীয় গিফটের মাধ্যমে শুরু হলো? আমরা এডভান্স পুরো টাকা দিয়েছে সেই টিকা কেন দেশে আসে নাই। এখন খুঁজে খুঁজে ভ্যাকসিন আনতেছে, আজকে মর্ডানার, কালকে ফাইজার, পরশু সিনোভ্যাক। কেন আমরা একসাথে আনতে পারছি না। কারণ একটাই বিশেষ ব্যক্তিদের সুবিধা দেয়ার কথা ছিলো, সেই বিশেষ ব্যক্তিদের সুবিধা দিতে না পেরে দেরি হয়ে গেছে, সেই বিশেষ ব্যক্তিদের খবর নাই, আমাদের ঔষধেরও খবর নাই। এই হচ্ছে অবস্থা।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও খিলগাঁও থানা সভাপতি ইউনুস মৃধার পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিব, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ইউসুফ বিন জলিল কালু, আবদুল মানায়েম মুন্না, মাসুদ আহমেদ মিলন, গোলাম হোসেন, জামিলুর রহমান নয়ন, মাহবুবুল আলম বাদল, এনামুল হক এনাম, আল-আমীন প্রমুখ।