৭ দফা দাবি পূরণ না হলে দেশের জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দাবি আদায় করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। আগামী নির্বাচনে প্রমাণ করে দিতে হবে এই দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, ঐক্যবদ্ধ হতে চায়।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ দুটি ব্যবসা ভালো পারে একটি হলো ধর্মনিরপেক্ষতা আরেকটি হলো মুক্তিযুদ্ধের। মুক্তিযুদ্ধের যে মূল চেতনা গণতন্ত্র এটাকেই গিলে বসে আছে। এই দানব সরকারকে সরাতে হলে জনগণের শক্তিকে একত্রিত করে ঐক্যবদ্ধভাবে আঘাত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যে সাতটি দাবি দিয়েছি, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে, ইভিএম বাতিল করতে হবে এবং বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের সমস্যা বিএনপি, হিন্দু কিংবা মুসলমানদের একার না আজকের সমস্যা সমগ্র জাতির। কথায় কথায় মিথ্যা, ভৌতিক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের অধিকার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সেজন্য আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে আঘাত করতে হবে। নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে নিজেদের অধিকার নিশ্চিত অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
বিএনপির পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে জে মাহবুবুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খানসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।