গণভবনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে বহুল প্রতিক্ষীত সংলাপ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যায় সাতটায় শুরু হওয়া এ সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অপরদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন।
সংলাপে অংশ নিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় গণভবনের প্রবেশ করেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭দফা দাবি ও ১১ লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করতে গণভবনে ঢুকছেন সরকারবিরোধী জোটের এই নেতারা। অন্য দিকে ‘সংবিধান সম্মত সকল বিষয়’ নিয়ে আলোচনার করা হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারি দল তথা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।
সংলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারি জোটের পক্ষে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের ২৩ জন নেতা অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আওয়ামী লীগের ১৮ জন। তাঁরা হলেন ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্যাহ, আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, আবদুল মতিন খসরু, মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আবদুস সোবহান গোলাপ, হাছান মাহমুদ ও শ ম রেজাউল করিম। ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাসদের আরেক অংশের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল ও সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া।
অপরদিকে গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী ও মোস্তফা মহসিন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না,জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব আ ব ম মোস্তফা আমীন,ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, এস এম আকরাম ও সুলতান মো. মনসুর আহমদ।
সংলাপের মাত্র আড়াই ঘণ্টা আগে আরো ৫জন তাদের সঙ্গে যুক্ত হন। নতুন যোগ হওয়া পাঁচ জনের মধ্যে দু’জন বিএনপির ও তিন জন গণফোরামের। বিএনপির দুই নেতা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। অন্যদিকে, গণফোরামের তিন জন হলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহ।