প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের নির্বাচনকে নিয়ম রক্ষার নির্বাচন বললেও, পরে আর সেই নির্বাচন না দিয়ে তিনি এই জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এই সরকার সর্প হয়ে দংশন করে, ওঝা হয়ে ঝাড়ে।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ এ মন্তব্য করেন দলটির সদস্য সচিব ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, এই সরকার ভাসানীর ইতিহাস মুছে দিতে চায়। বাংলাদেশ যিনি স্বাধীন করেছেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পিতা তার ইতিহাস পাঠ্যবইয়ে না থাকা সেটাই প্রমাণ করে।
সাবেক ডাকসু ভিপি নুর আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কোনও মানুষের কাতারেই পড়ে না। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পরই গণতন্ত্র হত্যা করেছে। দেশের সকল স্তরে অযোগ্য লোক বসিয়ে রেখে দেশকে গণতন্ত্রহীন করে তুলেছে। এখন এই সরকারের হাতে দুটো রাস্তা আছে, হয়তো সুষ্ঠুভাবে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে আর না হয় নির্মম পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকবে।
নুর বলেন, দেশে আজ বিচার নাই। যদি বিচার থাকতো তাহলে আমাদের ওপর ছাত্রলীগ ক্যাডাররা বারবার অতর্কিত হামলা করতে পারতো না। সরকারের ছত্রছায়ায় আমাদের ওপর বারবার হামলা করছে ছাত্রলীগ।
তেলের দাম বৃদ্ধিতে সরকারের সমালোচনা করে নুর বলেন, সরকার বলেছে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণে বাড়িয়েছি। অথচ এখন বিশ্বাবাজারে তেলের দাম কমলেও সরকার দাম কমাচ্ছে না কেন? যদি দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো না হয় তাহলে সারা দেশে আন্দোলন হবে ঘোষণা দেন নুর।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, ভাসানীর কবরে শ্রদ্ধা জানানোর দিন আমাদের ওপর হামলা হলে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এতে প্রমাণিত হয় এটা ওনারাই করিয়েছেন। অতএব এর দায় সরকার কখনও এড়িয়ে যেতে পারবে না।
রেজা কিবরিয়া বলেন, নুর ১৯ বার আক্রমণের শিকার হয়েছে। একবারও সরকার হামলা থামাননি আর থামানোরও চেষ্টা করেননি। তাতে বুঝা যায় এসব হামলা ওনার নির্দেশেই হয়েছে। সুতরাং দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষমতা যার নাই, তার ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন রেজা কিবরিয়া।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা রহমত উল্যাহ,সহকারী সদস্য সচিব খায়রুল কবিরসহ আরও অনেকে।