বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও দেশে কমানো হচ্ছে না কেন?

জাতীয় পার্টি, রাজনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 04:27:08

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, প্রয়োজন ছাড়াই তেলের দাম বড়ানোয় মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে এই অজুহাতে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে, এখন তো তেলের দাম কমছে কিন্তু তেলের দাম কমানো হচ্ছে না কেন?

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বর্ধিত সভার উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, এর আগে তেলের দাম বিশ্ববাজারে খুবই কম ছিলো তখনো তেলের দাম কমানো হয়নি। বলা হয় জ্বালানি তেলের চোরাচালান রোধে তেলের দাম বাড়ানো হয়, আসলে কখনোই জ্বালানি তেল চোরাচালান করা সম্ভব নয়। ট্যাংকার বা পাইপ লাইনের ছাড়া তেল পাচার করা অসম্ভব। কোনও দেশেই জ্বালানি তেল চোরাচালান করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ভর্তুকি দিয়ে তেলের দাম প্রতি লিটার ৭ টাকা রেখেছিলেন। এখন সেই ডিজেলের দাম ৮০ টাকা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালে দেশের সব মানুষ কষ্ট পায়। প্রতিটি পণ্য ও সেবার দামও বেড়ে যায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালে।

তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে গণপরিবহন কোনও ঘোষণা ছাড়াই ধর্মঘট শুরু করে। লাখ লাখ মানুষ পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়ে সড়কের মাঝে। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু কর্তা পরিবহন মালিকদের সাথে সভা করে পরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। সাথে সাথে ন্যাচারাল গ্যাসে চালিত বাসগুলোও ভাড়া বাড়িয়ে দেয়, অথচ গ্যাসের দাম বাড়েনি। আবার সরকার যতটুকু ভাড়া বাড়িয়েছে, শ্রমিকরা তার চেয়েও বেশি ভাড়া আদায় করে। যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে রাজি না হলে তাদের পথে নামিয়ে দেওয়া হয়।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, কোনও ঘোষণা ছাড়াই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ নিজের অজান্তেই বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল দিচ্ছে। পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে কারো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে হচ্ছে না। কৃষক যে পণ্য ৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করে তা হাত ঘুরে রাজধানীতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। দেশের কৃষক পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, গেলো বছর অপরিকল্পিকত লকডাউন দেওয়ার কারণে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েছে অনেকগুণ। যে দেশে তরুণদের সংখ্যা বেশি সেদেশ তত দ্রুত উন্নতি করে। কিন্তু আমাদের দেশের বেকার তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই।

এ সম্পর্কিত আরও খবর