খালেদা না থাকলে আ.লীগ নয়, বিএনপি থাকবে না: কাদের

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-21 00:24:02

খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগ থাকবে না বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসলে বলতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া না থাকলে বিএনপি থাকবে না কিন্তু তার স্লিপ অব টাং হয়ে আওয়ামী লীগের কথা বলে ফেলছেন। তার মনের কথা ছিলো বিএনপি কিন্তু মুখ থেকে ফসকে আওয়ামী লীগের কথা বের হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগ কেন থাকবে না, এটা একটি হাস্যকর কথা। খালেদা জিয়া না থাকলে বিএনপি থাকা না থাকার প্রশ্ন আছে। আসলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হতাশায় ভুগছেন।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তীর কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্য যৌথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের দল, এদলের শেকড় এদেশের মাটির অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নল নয়, এদেশের জনগণ। যতদিন জন্মভূমি থাকবে, সবুজের বনভূমিতে লাল সূর্যের পতাকা উড়বে, আমার সোনার বাংলা সংগীত বাজবে, যতদিন পাখিরা গান গাইবে, নদীর কলতান থাকবে, যতদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের থাকবে ততদিন আওয়ামী লীগ এদেশে থাকবে। যতদিন এদেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কীর্তি উন্নয়ন অগ্রগতি অর্জন থাকবে ততদিন আওয়ামী লীগ ইনশাআল্লাহ বেঁচে থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নামক দলটি রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন অপকৌশলে আমাদের দল ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। খালদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা তাদের মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছে।

খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নয়, এর দায় বিএনপিকে নিতে হবে। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য দিবা স্বপ্ন দেখছে। বিএনপি নেতাদের স্বপ্ন একদিন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। বিএনপি নেতারা কখন যে কি বলছেন তার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না। এমনকি বিএনপির মহাসচিবও এখন আবোল তাবোল বকছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির গণতন্ত্র হলো কারফিউ গণতন্ত্র। তাদের বহুদলীয় গণতন্ত্র বহুদলীয় তামাশা। ভোটারবিহীন গণতন্ত্র বিএনপির বাকরুদ্ধ গণতন্ত্র। বিএনপির বর্ণচোরা ও মুখোশ পরা গণতন্ত্রের দিকে বাংলাদেশ আর ফিরে যাবে না। বিএনপি এখন পথভ্রষ্ট বিশ্বাস হারানো এক রাজনৈতিক দল। বিএনপির স্বাধীনতা মানে বিচারের রায়ে তাদের পক্ষে যাওয়া।

সভায় উপস্তিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান। এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর