নির্বাচনের দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে: জাপা মহাসচিব

জাতীয় পার্টি, রাজনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 10:44:07

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের নামে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। অত্যাচারের কারণে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের, এ ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কোন সুফল পাইনি।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। টাঙ্গাইল-৭ আসনের উপ-নির্বাচনসহ চলমান সকল নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দল।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার এবং নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান অংশ নেন। জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব এটিইউ তাজ রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আখতার এমপি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, নির্বাচনে শাসক দলের কর্মীরা জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সমর্থকদের মারধর করেছে, কোথাও কোথাও নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে। সিরাজগঞ্জের একটি উপ-নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে নৈরাজ্যকর অবস্থা হয়েছে তাই আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে মির্জাপুরের নির্বাচন নিয়ে।

আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে বলেছি, বর্তমান কমিশনের অধীনে টাঙ্গাইল-৭ আসনের নির্বাচনটাই শেষ নির্বাচন। বিশেষ করে শাসক দলের কর্মী এবং লোকাল প্রশাসন অনেক সময় অতি উৎসাহী হয়ে শাসক দলের প্রার্থীর পক্ষে নির্লজ্জভাবে কাজ করতে চায়। নির্বাচন কমিশন তাদের যেন কন্ট্রোল করে এবং নির্বাচন যেন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য হয়। মানুষ যেন ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ যেন সৃষ্টি হয় তার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে অনুরোধ করেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন নির্বাচন অবাধ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল এবং ভোটারদের দায়িত্ব আছে। নির্বাচন কমিশন অনেক সময় চাইলেও পারে না, যদি শাসক দল এবং নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ না হয়। নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের অর্ডার পালন করতে স্থানীয় প্রশাসন বাধ্য এমন আইন আছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অর্ডার না শুনলে কি হবে তা আইনে লেখা নেই। এছাড়া নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী বিভাগের কাছে পাঠাবে, এখন পর্যন্ত নির্বাহী বিভাগ কোন ব্যবস্থা নিয়েছে এমন কোন উদাহরণ নেই।

জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে একটি আইন করতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। যাতে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের অর্ডার কেউ না মানলে নির্বাচন কমিশনই সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর