আওয়ামী লীগের প্রেসিডিশাম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের বক্তব্যের জবাবে নাসিক নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি জীবনে এমন বহু ঘুঘু দেখেছি, আল্লাহ আমাকে বহু ঘুঘু দেখিয়েছে। বাকিটা আল্লাহ জানে কী হবে। আমি মিছিলের মধ্যে গুলি খেয়ে মরিনি। আল্লাহ আমাকে মারেনি, আমার সাথের লোক ইব্রাহিম মারা গেছে। তখন যেহেতু আল্লাহ রহমত করেছে বাকি সময়টাও আল্লাহ রহমত করবে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে বন্দরের ২৭ নং ওয়ার্ডে গনসংযোগ চালানোর সময় সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। সরকারি দলের লোকজনের বাড়িতেও পুলিশ পাঠিয়ে মারধর করা হচ্ছে। ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামালের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে তার কেয়ারটেকারকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গতকাল রাতে লোকজনের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে থ্রেট করা হয়েছে তারা যেন আমার পক্ষে কাজ না করে নৌকার পক্ষে কাজ করে। আমার সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি নিবেদন আপনারা সচেতন থাকবেন। কোন গুজবে কান দিবেন না। অনেক নির্যাতন হবে, সে নির্যাতন প্রতিরোধ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনটা নারায়ণগঞ্জের জনগনের আশা আকাঙ্ক্ষার ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। জনগণ যেটা চায় সেটাই হবে।
তৈমুর বলেন, এই নির্বাচনটা হচ্ছে আঠারো বছরে পৌরসভার ব্যর্থতা এবং নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি পায়নি পক্ষান্তরে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি পেয়েছে, পানির জন্য দেড় লক্ষ টাকা নেয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশন থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হলেও ট্যাক্স দিতে হয় যেটা অন্য কোন সিটি করপোরেশনে নেই। সিটি করপোরেশন কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান না। এটা একটা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সিটি করপোরেশন জনগণকে সেবা দিবে। কিন্তু সেই সেবার বদলে তাদের ট্যাক্স বেশি গুনতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের জনগণ যে কারণে সিটি করপোরেশনের প্রয়োজন অনুভব করেছিল সে অনুযায়ী মানুষের সেবা বৃদ্ধি পায়নি। এখনও জলাবদ্ধতা, যানজট, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণরোধসহ মানুষের সামাজিক উন্নয়ন এখানে করা হয়নি। নারায়ণগঞ্জের মানুষ অত্যান্ত অসন্তুষ্ট।
তিনি আরও বলেন, এখন নতুন আরেকটা কথা আসছে, আমি তো সকলের সমর্থন কামনা করি। প্রতিটি ভোটারের সমর্থন চাই। প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী যদি মনে করে কেউ আমাকে সমর্থন দেয় তাকে সমর্থন না দেয়। তার সম্পর্কে বিভিন্ন বিশ্লেষণ লাগিয়ে তাদের চরিত্র হনন করা হয়।
তৈমুর বলেন, আমি কারও কথায় কষ্ট পাইনা। আমার দল ঐক্যবদ্ধ। তার মন্তব্যের কারণে তার দলে যে বিশাল ফাটল এটা জনগণের কাছে পরিষ্কার। শহরে এখন আলেচনা তারাই তো তাদের লোকদের সমর্থন পাচ্ছেনা। আর তৈমূর আলম খন্দকার সকলকে নিয়ে মাঠে নেমেছে। আমার জয় হবে এটাই জনগণ বলছে। কারও নামের সাথে কোন বিশেষণ দেয়াটা সভ্যতা নয়। এখন এ বিশেষণ আইভীর মুখেই শোনা যাচ্ছে।