গুম ও খুনের শিকার হওয়া ব্যক্তি আত্মগোপন করেছে মর্মে পরিবার থেকে চাপ প্রয়োগে স্বীকারোক্তি নেয়া সরকারের কলঙ্কময় দৃষ্টান্ত স্থাপন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি।
গতকাল (১৭ জানুয়ারি) রাতে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সভায় এ মন্তব্য করা হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা পর্যালোচনা হয়।
বিএনপি মনে করেন, গত প্রায় ১ যুগ ধরে বিএনপির যে সব নেতা-কর্মী গুম ও খুন হয়েছেন, তারা স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছেন মর্মে নিখোঁজ ও মৃত নেতা-কর্মীদের নিকটাত্মীয়দের নিকট থেকে স্বীকারোক্তি লিখে নেয়ার সরকারী নির্মম অপপ্রয়াস। ন্যায় বিচারের সকল মর্মবাণী ও মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য এবং রাষ্ট্র ক্ষমতার অপপ্রয়োগের এক নতুন কলংকময় দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে।
বিএনপি এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলছে যে, এমন ঘৃণ্য অপচেষ্টা সরকারের আত্মরক্ষার হাতিয়ার নয় বরং তার দানবিক পরিচয় স্পষ্টতর করেছে। সভায় সরকারের এসব অমানবিক কর্মকান্ড ও নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য নাগরিক হিসাবে সুবিচার প্রত্যাশী গুম, খুনের নির্মম শিকারদের পরিবারের সদস্যদের উপর অনৈতিক চাপ প্রয়োগ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ তীব্রতর করার লক্ষ্যে চলমান কর্মসূচি অব্যহত রাখার জন্য সারা দেশে দল ও অঙ্গদলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায় আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী সকল মহানগর ও জেলায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ ফসল গণতন্ত্রকে জবাই করে একদলীয় অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসন জারীর দিনটিকে “বাকশাল দিবস” হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি ঐ দিন সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত দলমত নির্বিশেষে গণতন্ত্রমনা বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।