‘ব্লক চেইন টেকনোলজিতে বিতর্কমুক্ত নির্বাচন হতে পারে’

, রাজনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 15:12:00

জাকের পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল বলেছেন, ব্লক চেইন টেকনোলজি প্রচলিত সব প্রযুক্তির সেরা। নিরপেক্ষ,  বিতর্কমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে ব্লক চেইন টেকনোলজি এবং ই-ভোটিং বাস্তাবায়ন এখন সময়ের দাবী।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে  বনানীস্থ জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সন্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ব্লক  চেইন” এর মত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বাস্তবায়ন, ই-ভোটিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে ভোট প্রদানের প্রস্তাবনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে আমরা পেশ করেছি। যা রাষ্ট্রপতির কাছে এ ধরনের সর্বপ্রথম প্রস্তাবনা। এ প্রস্তাবনায় রাষ্ট্রপতি চমৎকৃত হন  এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলের সদস্য ভোটারদের নাম, আইডি কার্ড এবং স্ব-স্ব দলের সমর্থক ভোটারদের ভোটারের নাম, আইডি কার্ড, স্বাক্ষর এবং ছবিযুক্ত ডাটাবেজ তৈরী করতে হবে। এ ডাটাবেজ নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। তা হলে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর যে সংরক্ষিত ভোট আছে তার প্রমাণ নির্বাচনের পূর্বেই নির্বাচন কমিশন অবহিত থাকবেন। এরপর নির্বাচন কমিশন এ ডাটাবেজ একটি অ্যাপের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে উম্মুক্ত করে দিবে। এতে করে ভোট গননা এবং ফলাফলের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর ভোট প্রদান, সংখ্যা এবং ফলাফলের সাথে চেক এন্ড ব্যালেন্স আসতে পারে।

তিনি বলেন, ব্লক চেইন প্রযুক্তি সবচাইতে গতিশীল এবং সুরক্ষিত। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কেউ চাইলেই লেনদেনে গড়মিল তৈরী করতে পারে না। ভোটার ডাটা ব্লক চেইন এর মাধ্যমে ষ্টোর করা এবং ভোটের ডাটাবেজ দেশের সকল নাগরিকদের জন্য উম্মুক্ত করে দিতে হবে। এই পদ্ধতিটি হ্যাকড করা সম্ভব নয়, বাকি সব পদ্ধতি হ্যাকিং হতে পারে।

জাকের পার্টি চেয়ারম্যান স্টার্টআপ দের জন্য স্টার্টআপ ইকুইটি ফান্ড, বয়স্কদের জন্য পেনশন ফান্ড, আয়ের গড়  হিসাবের প্রচলিত ধারার অসামঞ্জস্য এবং  সঞ্চয়কারীদের সঞ্চয় কে  বিনিয়োগের আরো বড় খাত তৈরির অপরিহার্যতা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সুষম বন্টন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কি করে আমরা গরীব মেহনতি মানুষকে মূল অর্থনীতির স্রোতধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। বাংলাদেশে  ল্যান্ড সাইজ ছোট হতে পারে কিন্তু একেকটি জেলা একটি ইউরোপীয় রাষ্ট্রের সমান। আমাদের ৬ লাখ কোটি টাকার বাজেট যদি সমান ভাগে ভাগ করা হয় তাহলে প্রতিটি জেলা পায় ১০ হাজার কোটি টাকা, অর্থাৎ ৫বছর মেয়াদে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা পায়, গুণগত ব্যায় ও সুষম বন্টন নিশ্চিত করা গেলে আমরা দারিদ্রতা কে পরাজিত করতে পারতাম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেলা পর্যায়ে গভর্নর নিয়োগ করার প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন, যাতে করে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে আরও উন্নত করা যায়।

মূল্যস্ফীতিকে আমানতকারীর আমানতের সাইলেন্ট কিলার আখ্যা দিয়ে বলেন, প্রতি বছর দ্রব্য মূল্যের দাম যে হারে বাড়ছে, আজকের ১০ লক্ষ টাকা ১০ বছর পর তার বাজার মূল্য হবে ৪ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ এখানে পরিস্কার দেখা যায় যে, সঞ্চয় এর মূল্য থাকছে না। সঞ্চয়কারীর সঞ্চয়কে ব্যবহার করে বিনিয়োগের খাত আরও ব্যাপক ভাবে সৃষ্টি করতে হবে। কারো বার্ষিক আয় ১০ কোটি টাকা, কারো ১ লাখ টাকা। কিন্তু আয়ের গড়ে বললাম ৫ কোটি টাকা গড় হিসাব এভাবে দেখলে আসল চিত্র বুঝা যায় না। তাই টার্গেট ধনী কে গরীব বানানো না, টার্গেট হবে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে কি করে আরো উন্নত জীবন দেয়া যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর