জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টি কোন জোট নিয়ে ভাবছে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য তিনশো আসনেই প্রার্থীতা চূড়ান্ত করার কাজ করছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি তিনশো আসনেই প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করবে। দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্যের ইতিবাচক পরিবর্তন করতেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি ) জাপার বনানী কার্যালয়ে ফেনী জাতীয় পাটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আওয়ামী লীগ কর্মীরা এমনভাবে লুটপাট করছে যাতে আগামী বিশ-ত্রিশ বছরে তাদের আর অভাব হবে না। আওয়ামী লীগ কর্মীরা লুটতরাজ ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছে না।
জাপা মহাসচিব বলেন, বিএনপিও লুটতরাজ করে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিএনপি শুধু মুক্তি চাই, মুক্তি চাই বলে চিৎকার করছে। কিন্তু দেশের মানুষের দুর্দশার কথা এই দুটি দল ভাবছে না। সংসার চালাতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। মানুষের কাজ নেই, ঘরে ঘরে কয়েক কোটি বেকার দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে।
আগামী নির্বাচনের আগে দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান জাতীয় পার্টি মহাসচিব। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবে। দেশের মানুষ মাটির নিচ দিয়ে রেল লাইন আর আসমান দিয়ে সড়ক পথ দেখতে চায় না। দেশের মানুষ চায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে বিশেষায়িত হাসপাতাল, যেখাতে তারা বিনামূল্যে সকল চিকিৎসা পাবে।
লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি বলেন, দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তারা আগামী নির্বাচনে হুসেইন মুহম্ম্দ এরশাদের লাঙ্গলে ভোট দিতে অপেক্ষা করছেন।
ফেনী জেলা জাতীয় পার্টির মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব (চট্টগ্রাম বিভাগ) এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, ফেনি জেলা আহ্বায়ক রাশেদ চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, দফতর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান, থানা নেতৃবৃন্দের মধ্যে ভিপি জহির উদ্দিন, জাফর আহমদ রাজু, শাহরিয়ার ইকবাল, মুজিবুর রহমান বাবুল, কামরুল ইসলাম ক্লাইফ, সিরাজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম মজুমদার, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।