মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে এসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ঐক্যফ্রন্ট। স্থানীয় সাংবাদিকরা শনিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকেই ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের অপেক্ষায় ছিলেন। সাংবাদিকসহ উপস্থিতদের ধারণা ছিল ড. কামাল হোসেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জোরালো বক্তব্য দেবেন।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কামাল হোসেন। এ সময় সাংবাদিকরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। তিনি বলেন, ‘মাওলানা ভাসানী ছিলেন মজলুম নেতা। তিনি জনগণের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে গেছেন। তার আত্মার মাগফেরাত ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ এখানে এসেছি। মাওলানা ভাসানী অনুপ্রেরণা হয়ে চিরদিন আমাদের মাঝে থাকবে।’
এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আজ নির্বাচনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য নয়।’
এদিকে ভাসানীর মৃত্যু দিবসে শনিবার ভোর থেকেই সন্তোষে জনতার ঢল নামে। তার অসংখ্য মুরিদান ও ভক্তদের কণ্ঠে যুগ যুগ জিয়ো তুমি মওলানা ভাসানী স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে মজলুম জননেতার সমাধিস্থল টাঙ্গাইলের সন্তোষের মাজার প্রাঙ্গণ।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই মাজারে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। আর এর মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করা হয়।
এরপর বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মরহুমের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের এই দিনে (১৭ নভেম্বর) ঢাকার পিজি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাওলানা ভাসানী মৃত্যুবরণ করেন।