ইসির দায়িত্ব পালনে ব্যাঘাত হলে দায়ভার বিএনপির: কাদের

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 17:09:40

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনে যদি কোনাে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়ে থাকে তার দায়ভার বিএনপিকে নিতে হবে।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে মামলা ও বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই ধরনের বক্তব্য গণতন্ত্রের রীতিনীতি ও মুল্যবােধ পরিপন্থী। নির্বাচন কমিশন শুধু একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের জন্য রেগুলেটরি বডি বা রেফারির মতাে। খেলায় কোনাে দল খারাপ খেললে অনেক ক্ষেত্রেই তাৱা রেফারিকে দোষারােপ করে। বিএনপির অবস্থাও অনেকটা সেরকম । খেলায় পরাজিত হয়ে অথবা খেলায় অংশ গ্রহণ না করে রেফারিকেই দোষারােপ করা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রকেই প্রতিনিধিত্ব করে। দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই কমিশনের প্রতিটি সিদ্ধান্তই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। তাই নির্বাচন কমিশনের প্রতি এরূপ অসৌজন্যমূলক আচরণ দেশের সংবিধান পরিপন্থী ।

আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, যে কোনাে প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেউ না কেউ সংক্ষুব্ধ হতে পারে। কিন্তু সে সংক্ষুব্ধতা প্রকাশের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি রয়েছে। সে পথে না গিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ জাতীয় বিষােদগার রাষ্ট্র, সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভিত্তিমূলে আঘাত।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও প্রশাসনিক কাঠমাে বৃদ্ধির জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইনসহ যা কিছু উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে। ২০০৯ সালের পূর্বে নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধিনে একটি সংস্থা ছিল। ২০০৯ পরবর্তী সময়ে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভােট ব্যাংক বিনষ্ট হয়ে যাওয়ায় ক্ষমতা দখলের উপায়ন্তর না পেয়ে জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সাহস হারিয়ে ফেলে। তাই জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত বিএনপি সার্চ কমিটির প্রতি বিরূপ মন্তব্য ও লাগাতার অপপ্রচাৱে লিপ্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে- জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই ক্ষমতায় থাকবে। সংবিধান সম্মতভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের ভােটে আওয়ামী লীগ আবারও রাষ্ট্র পরিচালনায় থেকে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামে জয় আমাদের হবেই ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর