প্রাথমিকভাবে তিনশ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবো। তারপর জোট হলে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রাজনীতির মেরুকণের কারণে জোট করতে হলে আমি একা সিদ্ধান্ত নেবো। তোমরা মেনে নিবে তো।
এ সময় ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত জাপার ৭৮০ মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনশ আসনে প্রার্থী চেয়ে স্লোগান দেন। বেশ কয়েক মিনিট এমন স্লোগান চলে।
এরশাদ বলেন, এই দলের জন্য আমার চেয়ে কেউ বেশি ত্যাগ করোনি। আমি সাত বছর জেল খেটেছি। আমাকে জেলে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিলো। আমি একা সারাদেশে ছুটে বেড়িয়েছি। আমি যে সিদ্ধান্ত নেবো পার্টি ও তোমাদের ভালোর জন্য সিদ্ধান্ত নেবো। তোমরা মেনে নেবেতো। তখন জবাব আসে জি। কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পরেই আবার তিনশ তিনশ স্লোগান ওঠে।
এরপর এরশাদ বলেন, প্রেসিডিয়ামের সভায় আমাকে জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আমি ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত দেবো। তোমরা মাঠে চলে যাও।
এরশাদ বলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কাজটা অনেক কঠিন কাজ। অনেককে বাদ দিতে হবে। তোমরা সবাই আমার সন্তান তুল্য কাকে রেখে কাকে বাদ দিবো। যাকে বাদ দিবো মেনে নিতে হবে। তার পেছনেই কাজ করতে হবে। সবাইকে পার্টির জন্য ত্যাগ করতে হবে। তোমরা সবাই প্রস্তত আছোতো।
অনেকে বলেছিলো জাতীয় পার্টি বিলীন হয়ে যাবে। কিন্তু বিলীন হয়নি, জেগে উঠেছে। এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম। আজ তিনশ আসনে আমাদের প্রার্থী রয়েছে।
এরশাদ বলেন, আমার নেতৃত্বে একটি জোট আছে তারাও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়েছে। সুতরাং তারাও জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এখন আর কোনো দল নেই। শুধু আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি।
এরশাদের পরে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, জোট থেকে যে আসনগুলো পাবো। সেগুলো জয় নিশ্চিত হবে। না হলে সম্ভব না। এসময় আবার তিনশ তিনশ শ্লোগান ওঠেন।
শেষে শ্লোগানের মধ্যেই দলীয় সঙ্গীত নতুন বাংলাদেশ গড়বো মোরা, নতুন করে আজ শপথ নিলাম.... গাওয়া শুরু করেন। অন্যদেরও গাওয়ার অনুরোধ করেন।