'পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদাকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত’- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে খালেদা জিয়ার হত্যার হুমকি বলে মনে করছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রীর ঐ বক্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে দলটি।
সমাবেশে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বক্তব্য দিলেও বক্তব্য দিতে পারেনি ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তাকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। সুযোগ না দেওয়ায় এক পর্যায়ে সমাবেশ ছেড়ে চলে যান বিএনপি এই তরুণ নেতা।
সোমবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি।
সকাল দশটায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে যোগ দিতে প্রেসক্লাবে আসেন ইশরাক হোসেন। বেলা সাড়ে ১১টা পার হলেও বক্তব্যের সুযোগ পাননি ইশরাক। একপর্যায়ে অনেককেই বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া যাচ্ছে না বলে যখন মাইকে ঘোষণা করা হয় তখন ইশরাক ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মঞ্চ ছেড়ে প্রেসক্লাবের ভেতরে চলে যান। এ সময় অনেকে তাকে আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
বিষয়টি নিয়ে মঞ্চে আলোচনা হলে কিছুক্ষণ পর বক্তব্য দেওয়ার জন্য ইশরাকের নাম ঘোষণা করা হয়। তখন মঞ্চে না থাকায় ইশরাক এলে তাকে সুযোগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই সমর্থকদের নিয়ে প্রেসক্লাব রাস্তার পশ্চিম পাশে চলে যান। সেখানে ৮ থেকে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছবি তোলেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন। এর কিছু সময় পর সমাবেশ ত্যাগ করেন বিএনপির এই নেতা।
এর আগে সকাল দশটায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল তার আগে থেকেই দলটির নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকে।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি'র আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করছেন ঢাকা উত্তর বিএনপি'র সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনু। সমাবেশে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।