আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা লাশ চায়, লাশের রাজনীতি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। কিন্তু যতই ষড়যন্ত্র করুক কোন লাভ নেই, নির্বাচনকে প্রতিহত করার ক্ষমতা তাদের নেই।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ তাদের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলো সাম্প্রতিককালের অশালীন ও কুটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যসহ হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে বিএনপি-জামায়াত ৭৫ এর স্বপ্ন দেখে। '৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার' এই স্লোগান দিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেখায়। মনে রাখবেন, মির্জা ফখরুল সাহেব এই বাংলাদেশ আর কোনো দিন ৭৫ ঘটতে দেওয়া হবে না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্য নানক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব কোন পথে হাঁটবেন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাদের। ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটবেন না গণতন্ত্রের পথে হাঁটবেন। গণতন্ত্রের পথে হাঁটলে নির্বাচন কমিশনকে মানতে হবে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে হবে। নির্বাচনকে ব্যর্থ করার, প্রতিহত করার ক্ষমতা আপনাদের নাই।
বিএনপি উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আজকে খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ২১ আগস্ট গ্রেনেট মেরে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। শেখ হাসিনা নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগার থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়িতে এনে রেখেছেন, চিকিৎসা দিচ্ছেন। তারেক রহমান দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি লন্ডনের সুরম্য অট্টালিকায় থাকছে দেশের টাকা লুট করে। সেখান থেকে লাদেনের ভূমিকা পালন করে কোনো লাভ হবে না।
নানাক বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো শেখ হাসিনা সে ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে আগামী ২৫ তারিখ স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলো দেশ এগিয়ে চলছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজপথকে ভয় পায় না। এই দল রাজপথের দল। ফখরুল সাহেব আসুন দেখে যান, রাজপথ আজ যুব মহিলা লীগের দখলে আছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড হাছান মাহমুদ বলেন, তারা আবারও আগুন সন্ত্রাসের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। আওয়ামী লীগ এই দেশের আপামর জনতার দল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে আছে এবং থাকবে। সন্ত্রাসীরা যদি এই বাংলাদেশে বিএনপি এবং জামায়াতের নেতৃত্বে আবারও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করে আমাদের নেতা কর্মীরা জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আজকে যখন নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু হয়ে গেছে, তখন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত পলাতক চেয়ারম্যান এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাথা খারাপ হয়ে তাদের সমালোচনা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভরে গেছে। তাদের লজ্জায় মাথা হেট হয়ে গেছে। এই জন্য তারা বাংলাদেশের ভিন্ন রকমের একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যাতে মানুষের মধ্যে আজকে যে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আনন্দ বিরাজ করছে, সেটিকে তারা নষ্ট করতে চায়। জনগণের প্রতিপক্ষ স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করতে আমাদের নেতাকর্মীরা বদ্ধপরিকর।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিলের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ যুব মহিলা লীগের নেত্রীরা।