স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রথম কমিটি গঠন হয় ২০১৬ সালের দিকে। এরপর দীর্ঘ ৪ বছর পর ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৪৯ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিউল বারী বাবু মৃত্যুবরণ করলে সংগঠনে কিছুটা স্থবিরতা আসে। তবে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যান।পরে ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল মোস্তাফিজুর রহমানকে সভাপতি করেই ৩৫২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।
তবে এই কমিটি নিয়ে দলের মধ্যে যথেষ্ট নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। সাংগঠনিক বিচারে এটি একটি মেয়াদোর্ত্তীণ কমিটি। স্বেচ্ছাসেবক দলের বেশ কয়েকজন নেতার সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বর্তমান কমিটি প্রত্যাশানুযায়ী কাজ করতে পারছে না। তাছাড়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের রসায়নেও যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে। বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি দেয়াতে দীর্ঘ সূত্রিতার আশ্রয় নেয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উপর ক্ষুব্ধ। বিএনপির অন্যান্য সক্রিয় সংগঠনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারার কারণে স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি দেয়ার প্রয়োজন অনুভব করছে বিএনপি হাইকমান্ড। চলতি মাসে (২ আগস্ট) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সংগঠনটির নেতৃবৃন্দের সাথে নতুন কমিটি গঠন নিয়ে ভার্চুয়ালি আলোচনা করেছেন। সেখানে তিনি সম্ভাব্য নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিয়েছেন।
নতুন কমিটিতে সাবেক ছাত্রনেতাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া বিগত আন্দোলন সংগ্রামে যেসব নেতা ভূমিকা রেখেছে কিন্তু অন্য কোথাও পদ পাননি তাদেরকে পূর্নবাসনের ইচ্ছে আছে বিএনপি হাইকমান্ডের। এছাড়া ছাত্রদলের সদ্য সাবেক এবং যুব নেতাদের যারা পদ বঞ্চিত তাদের ব্যাপারেও সফট কর্ণার রয়েছে দলের। এজন্যই এবার আংশিক কমিটির বদলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়ার ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে আছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
স্বেচ্ছাসেবক দলে সভাপতি পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে জোর আলোচনায় আছেন-বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল ছাড়াও হাবিবুর রশীদ হাবিব,রাজীব আহসান,গোলাম সারোয়ার,সাইফুল ইসলাম ফিরোজ এবং এস এম জিলানী।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদকের পদে ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ সহ আলোচনায় আছেন আজহারুল হক মুকুল,সাদরেজ জামান, ইয়াসিন আলী,সর্দার মো. নুরুজ্জামান এবং নাজমুল হাসান।
কমিটিতে যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী কিন্তু পদে আসতে পারবেন না তাদেরকে সংগঠনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হবে বলে জানা গেছে। কমিটি গঠনের কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাই যে কোন মুহূর্তেই নতুন কমিটি ঘোষণা হতে পারে।