জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, বাংলাদেশের সকল ক্ষমতা এক জনের হাতে, একজনের হাতে সকল ক্ষমতা থাকলে সে স্বৈরাচার হতে বাধ্য। ক্ষমতার ভারসাম্য জরুরি হয়ে পড়েছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা শেরাটন হোটেলে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ‘ক্ষমতা শক্তিশালী করণের ওপর কৌশলগত এক পরিকল্পনা’ কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করা উচিৎ। সংবিধানের ৭০ ধারার কারণে সংসদ সদস্যদের মুখ বন্ধ হয়ে আছে। আবার, যিনি ক্ষমতাসীন দলে প্রধান তিনিই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাহী বিভাগের প্রধান। আবার আইন সভার প্রধানও তিনি। সংবিধানের ৪৮ ধারার কারণে রাষ্ট্রপতি প্রায় সকল সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিতে বাধ্য। তাই সাংবিধানিক ভাবেই সকল ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে ন্যাস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি, দুঃশাসন, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী ও দলবাজীর কারণে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেছে। দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপরীতে বিকল্প শক্তি দেখতে চায়। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপরীতে জাতীয় পার্টিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে দেখতে চায়।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অফ পার্টি ডানা আই গোল্ড, ড. মো. আব্দুল আলিম, গোলাম মোস্তফা। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, নাজমা আক্তার এমপি, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড.মেহে জেবুন্নেসা রহমান টুম্পা, হেনা খান পন্নী, নাজনীন সুলতানা, মাসরুর মওলা, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, নিগার সুলতানা রানী, আহসান আদেলুর রহমান (আদেল) এমপি, ইকবাল হোসেন তাপস, এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, জসিম উদ্দিন ভূইয়া, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ প্রমুখ।