আমাদের গণতন্ত্র আমরাই চালাবো, কারও ফরমায়েশে না: কাদের

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 03:33:10

নির্বাচন ব্যবস্থায় বিদেশিদের কোন ফরমায়েশে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “পর্যবেক্ষক হিসেবে আসতে পারেন, কোন বাধা নেই।”

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ কমিটির উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ওবাযদুল কাদের বলেন, “গণতন্ত্রের বস্ত্র হরণ কারীদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই। এই দেশে গণতন্ত্রের যা কিছু অর্জন, সবই কিন্তু আমাদের। পঁচাত্তর পরবর্তীতে শৃঙ্খলিত গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করার অগ্রভাগে ছিলেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে গণতন্ত্র শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছে।

“আমরা বলতে চাই এই গণতন্ত্র একটা বিকাশমান প্রক্রিয়া, সময় পরিবর্তন যতই আসবে আমরা শত বাধা বিপত্তির মাঝে আমাদের নেত্রী গণতন্ত্র বিকাশমানে আপ্রাণ চেষ্টা করবে।”

নির্বাচন ব্যবস্থায় বিদেশিদের কোন ফরমায়েশে বাংলাদেশের গণতন্ত্রে চলবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে বিদেশিরাও কিছু বলেন নি। কারণ, তাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক নেই। বাংলাদেশে অহেতুক কেন তত্ত্বাবধায়কের নামে বিএনপির চক্রান্ত মূলক রাজনীতি? আসলে বিএনপি সরকারের উন্নয়ন অর্জনে হেরে যাবে, তারা আজকে দিশেহারা। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে সেই বিদেশিরাও বিএনপির পক্ষে কিছুই বলে না।

“সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র এসেও তাদের সঙ্গে বৈঠক হয় নি। তারা যার সঙ্গে ইচ্ছা বৈঠক করুক। কিন্তু আমাদের এখানের গণতন্ত্র আমরাই চালাবো। কারও ফরমায়েসে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না। আমরা নির্বাচন করি, কেমন নির্বাচন করি পর্যবেক্ষক হিসেবে শেখ হাসিনা স্বাগত জানিয়েছে। সে আমেরিকা থেকে আসুক, ইউরোপ থেকে আসুক, যেখান থেকে ইচ্ছা পর্যবেক্ষক আসুক এখানে কোন বাধা নেই। এখানে কারও জন্য কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা ষড়যন্ত্র করি না কিন্তু ষড়যন্ত্রের শিকার হই। আমরা হত্যার রাজনীতি বিশ্বাস করি না কিন্তু আমরা বারে বারে হত্যার শিকার হই। এটা হলো বাংলাদেশের বাস্তবতা।

বিএনপির ঘরেই গণতন্ত্র নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজকে বিএনপি কখন যে কি বলে নিজেদের ঘরটাতে তাদের গণতন্ত্র নেই। ফখরুল সাহেব নিজেরও হয়তো মনে নেই কবে তার সম্মেলন হয়েছে। আমি তিন তিনবার সম্মেলন করে সাধারণ সম্পাদক হয়ে গেলাম, কিন্তু বিএনপি? ঢাকা থেকে তৃণমূলে, আমাদের কয়েক হাজার সম্মেলন হয়ে গেছে, কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড ইউনিট পর্যন্ত। অথচ তাদের নির্বাচিত কোন প্রতিনিধি নেই। সেই সুযোগ তাদের দলে নেই, সহযোগিদের সম্মেলন নেই, ঘরে বসে কমিটি দিচ্ছে।

“এই দল আবার আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্র শেখাতে আসে। ফখরুল সাহেবদের লজ্জা পাওয়া উচিৎ। তাদের আমলেই গণতন্ত্রের উপর আঘাত এসেছে সবচেয়ে বেশি। তাদের আমলে প্রহশন মূলন ১৫ ফেব্রুয়ারি মাগুরা মার্কা নির্বাচন , হাঁ/না ভোট। যেখানে হাঁ ভোটের পার্সেন্টেজ ১১৪ পার্সেন্টও হয়েছে। জিয়াউর রহমমানের হাঁ/ না ভোট। তাদের আমলে ভোট চুরির রেকর্ড হয়েছে, সকাল এগারোটার মধ্যে ভোট শেষ, তাদের আমেলে ১ কেটি ২৩ লাখ ভোয়া ভোটার হয়েছে, যে জন্য ওয়ান ইলেভেন হয়েছে, এটা অন্যতম কারণ।”

আওয়ামী লীগের গঠিত উপ কমিটিতে সর্বোচ্চ এক শত জন রাখার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমি আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে উপ কমিটির চেয়ারম্যন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করণে সেই প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করবো।

“উপকমিটি গঠনে, খুব বড় কমিটি করলে বসতেও সমস্যা হয়। এটা একশত জনের মধ্যে রাখলে ভালো হয়। সর্বাধিক এক শত জনের মধ্যে, ৯১ বা ১০১ সর্বাধিক রাখতে হবে। আমাদের তিন চারশত কর্মী বছরে পার্টি অফিসে ঘুরছে। কাজেই উপ কমিটিটা সান্ত্বনা। ওরা যাবে কোথায়, একটা পরিচয় না থাকলে যাবে কোথায়।”

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু বক্তব্য রাখেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর