সরকারি দলের সবকিছু আছে কিন্তু মাঠে ময়দানে কোন ভোট নেই এই বাস্তবতাকে বুঝেই তারা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যেকে বেছে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যতই আচরণ বিধি লঙ্ঘন করুক না কেন, হামলা চালাক না কেনো, বিএনপি নেতাকর্মীরা শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবে। আমরা মাঠ ছাড়বো না।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, কোথাও সুষ্ঠু নির্বাচনের ন্যূনতম পরিবেশ নেই। আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলাটি এখনো রাতভর অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার ও ঘরছাড়া করা হচ্ছে। এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য মাইকিং করতে গেলে কোন মাইকিং সন্ত্রাসীরা করতে দেয় না। আমাদের নির্বাচনী প্রচার মাইক ভেঙে ফেলা হচ্ছে এবং যার মাইকিং করছে তাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে আবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় আদৌ কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা সকল মানুষের মধ্যে এই প্রশ্নটিই এখন প্রকট ভাবে দেখা দিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সারাদেশে নির্বাচনী উৎসব বলে এখন আর কিছু নাই। শুধুমাত্র আমার নির্বাচনী এলাকা নয়, সারা বাংলাদেশে ধানের শীষের পক্ষে যে জোয়ার উঠেছে সে কারণেই সরকার এই ভয় ভীতি ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী দলের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে মাঠছাড়া করে জোরপূর্বক কেন্দ্র দখল করা ছাড়া সরকারের আর কোনো বিকল্প পথ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, সারাদেশে বিএনপির নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।