নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌর শহরে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ মিছিলে ইট পাটকেল ও বিএনপি প্রার্থীর গুলি ছোড়ার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
নেত্রকোনা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম হিলালীসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) এ মামলা দুটি দায়ের করেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল হাসান ভূইয়া ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বিপুল।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী মামলা দায়ের ও ১০ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও পুলিশ টহল জোরদার রয়েছে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আটপাড়া উপজেলায় যুবলীগের মিছিলে বিএনপির পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাত ৯টার দিকে একই আসনের কেন্দুয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করেন।
মিছিলটি বিএনপির প্রার্থীর বাসা ও দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মিছিলের ওপর বিএনপির কার্যালয় থেকে প্রথমে ইট পাটকেল ছুড়ে। পরে মিছিলকারীরা উত্তেজিত হয়ে বিএনপির কার্যালয়ের দিকে ধাওয়া করলে বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তার বাসার ছাদের ওপর থেকে মিছিলে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েন।
এতে পৌর আওয়াম লীগের সভাপতি কামরুল হাসান ভূঞা, শ্রমিকলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদ হোসেন তালুকদার দোলন ও কান্দিউড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মাসুদ রানাসহ অন্তত ১০-১২ জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. আব্দুল কাদির ভূঞা বলেন, ‘নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের নির্দেশেই বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম শান্তিপ্রিয় প্রতিবাদ মিছিলে গুলি বর্ষণ করেছেন। আমরা রফিকুল ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিছিলকারীরা আমার বাসায় হঠাৎ হামলা করে কয়েকটি গাড়িসহ ব্যাপক ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে বাসার ভেতর থেকে আমি শর্টগান ও পিস্তলের কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ি।’