আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ক্ষমতায় থাকার জন্য ডিজিটাল ফর্মুলা বাস্তবায়ন শুরু করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় ঠাকুরগাঁওয়ে তিনদিনের নির্বাচনীয় প্রচারণা শেষে প্রেসক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসার প্রথম দিন বেগুনবাড়ি দানারহাট এলাকায় গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। তাদের হামলায় এতে ৫/৬টি গাড়ি ভাংচুর ও ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন’।
নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠ থাকার জন্য দলীয় কর্মীদের উসকানিতে পা না বাড়াতে পরামর্শ দেন ও হামলার ঘটনায় জেলা রিটার্নিং অফিসারকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, এক দলীয় শাসন ব্যবস্থার সরকার প্রমাণ দিলো যারাই হামলা করলো, আবার তারাই মামলা করল।
তিনি অভিযোগ করেন, উল্টো তাদের নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ৫৭ জন বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে, আবার আইন শৃঙ্খলাবাহিনী একজনকে আটকও করেছে।
ফখরুল বলেন, সকল দল যখন সরকার পতন করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখন নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সরকার ইতোমধ্যে বিএনপির গণজোয়ারে হতাশ হয়ে পড়েছে। তাই দলীয় ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বাচন বানচাল করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে তারা।
নির্বাচন কমিশন ব্যর্থতায় পরিণত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেন, ইসি ভোটের আগে নতুন কোন মামলা, গ্রেফতার ও হয়রানি না করার কথা দিয়েছিলেন। সংলাপে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন আর কোন মামলা, গ্রেফতার করা হবে না। সুষ্ঠ পরিবেশে সকল দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বাস্তবায়ন কতটুকু পত্রিকা ও টিভিতে চোখ রাখলে বোঝা যায়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কোনো উসকানিতে পা দেবেন না। আমরা নির্বাচনে যাব এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখব। জাতির এই কঠিন সঙ্কটে নির্বাচনই হচ্ছে একমাত্র পথ যার মাধ্যমে আমরা পরিবর্তন আনতে পারি।
বিএনপির কোনো বন্দুক-পিস্তল-অস্ত্র নেই, শুধু রয়েছে ভোটের দিনে একটি ব্যালট পেপার। যা দিয়ে সরকার পরিবর্তন করা যেতে পারে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জনগণই পারে ধানের শীষে একটি করে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ- সভাপতি পয়গাম আলীসহ জেলা, উপজেলার নেতাকর্মী, ঠাকুরগাঁও জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, নির্বাচনী প্রচারণায় ঠাকুরগাঁও-১ আসনে ১১ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও এসেছিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আজ রাতে বগুড়া-৬ আসনে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ঠাকুরগাঁও ত্যাগ করে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন।