বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। আন্দোলন থেকে দূরে রাখতে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও রায় দেওয়া হচ্ছে। আর সেই ধারাবাহিকতায়ই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমান উল্লাহ আমানের ফরমায়েশি রায় মহামান্য হাইকোর্ট বহাল রেখেছে। কিন্তু ফরমায়েশি রায় বহাল রেখে আর নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দিয়ে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সরকারি ইসলামিয়া কলেজ মাঠে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে মামলার রায়ের প্রতিবাদে জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার ভয় দেখিয়ে ও বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে, মানুষের ভোটে না। এখন সময় এসেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা এই বয়সেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছি, আপনাদেরও দাঁড়াতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের ২৭ জন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে বার বার জেলে দেওয়া হয়। তারা ইচ্ছেমতো বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেয়।
সরকারের উদ্যেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামীতে আবারও সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন যাতে না হতে পারে সেজন্য সরকার বিএনপির নেতাদের সাজা দিয়েছে। তারা একতরফা, কারচুপির নির্বাচনের পথে হাঁটছে। বাংলাদেশে সম্পূর্ণভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার যাতাকলে পড়েছে, ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে।
মিথ্যা মামলা দিয়ে জনগণের কণ্ঠ স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের শুভবুদ্ধি উদয়ের সম্ভাবনা নেই। একমাত্র জনগণের উত্তাল আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে।
তিনি বলেন, আপনারা পুলিশকে ব্যবহার করে সমাবেশে বাধা দেন। কিন্তু আমি পুলিশকে আজকের প্রোগ্রামের জন্য ধন্যবাদ দেই, পুলিশ আজকের মতো আগামীতেও প্রোগ্রাম সফল করতে সহযোগিতা করবে।
জনসভায় সিরাজগঞ্জের নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতির বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা নতুন দিশা দেখিয়েছেন। সিরাজগঞ্জের মানুষ সবসময় বীর যোদ্ধা। আজ সিরাজগঞ্জের মানুষ জেগে উঠেছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু'র সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম।