অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে অধিকার হারা, গণতন্ত্র হারা মানুষের আন্দোলন সংগ্রামে জাতীয় কবির কবিতা, গান ও জীবন আদর্শ প্রেরণা জোগায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে, দেশে গণতন্ত্র নেই, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে অধিকার হারা, গণতন্ত্র হারা মানুষের আন্দোলন সংগ্রামে জাতীয় কবির কবিতা, গান ও জীবন আদর্শ আমাদের প্রেরণা জোগায়। আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে উৎসাহিত করে। আমরা যখন মিছিল করি, আমরা যখন স্লোগান দেই, আমরা যখন কারাগারে যাই তখন এ মহান জাতীয় কবির কবিতা আমাদের উদ্দীপনা যোগায়।
রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল সাতটার দিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি গণমাধ্যমে একথা বলেন।
রিজভীবলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে আজ বেগম খালেদা জিয়া বন্দী, তারেক রহমান দেশে আসতে পারছেন না। তাকেও অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে জাতীয় কবি আমাদের অন্যতম প্রেরণা। অচিরেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে ইনশা আল্লাহ।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা একই সময় সিঙ্গাপুর কেন? তারা ষড়যন্ত্রের জন্য গেছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো খামোখা কথা। তারা বয়োজ্যেষ্ঠ এবং গুরুতর অসুস্থ। তাই চিকিৎসা করাতে সিঙ্গাপুর গেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন তিনি তো গুরুতর অসুস্থ হয়ে এক মাস আগে সেখানে গেছেন। আমাদের মহাসচিবও নিয়মিত সিঙ্গাপুর চিকিৎসা নেন। মির্জা আব্বাসও নানা জটিল রোগে ভুগছেন। তিনি চিকিৎসা নিতে সেখানে গেছেন। তাহলে ষড়যন্ত্রের প্রশ্ন আসবে কেন? তাদের কী উন্নত চিকিৎসা করার অধিকার নেই? সুষ্ঠু ভোটের দাবি করা কিংবা গণতান্ত্রিক আন্দোলন ষড়যন্ত্র হবে কেন?
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জাসাসের আহবায়ক হেলাল খান, বিএনপির জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।