‘আমরা সবাই ঘোর অন্ধকারের দিকে যাচ্ছি। স্বাধীনতার সময় যে স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, কল্পনাও করিনি এমন একটা সময় আমাদের দেখতে হবে। আজকে গণমাধ্যমও ভাগ হয়েছে। একদিকে রয়েছে ভয়াবহ সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী, অপরদিকে রয়েছে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা ফিরে পাবার সংগ্রাম। যারা সংগ্রামে আছেন তাঁরা আজ নিগৃহীত। তাঁদের অনেকের আজ চাকরি নেই। আজ মাহমুদুর রহমান, শফিক রেহমান দেশ ছাড়া। সত্য বলার অপরাধে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অনেক গণমাধ্যম।’
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র এখন আর রাষ্ট্র নেই। রাষ্ট্র এখন পুরোপুরি একটা যন্ত্রনা, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়নের কারখানা হয়ে গিয়েছে। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তখনই সফল হতে পারে যখন এটার তিনটা স্তম্ভই কাজ করতে পারে। যেখানে আজকে পুরো তিনটা স্তম্ভই তাঁরা (বর্তমান সরকার) দখল করে নিয়েছে। যাকে আমি বলি, তাঁরা দেশের আত্মাটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা যে আত্মাটাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি, কাজ করেছি, লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি আমাদের সে আত্মা বিনষ্ট করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে অনেকে বলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। আমি তো বলি যারা বিচারক তাঁরাই সেই স্বাধীনতাটাকে ধ্বংস করছে বর্তমানে। বড় বড় পত্রিকার এডিটর চ্যানেলের এডিটর তারা আজকে কী ভূমিকা পালন করছে। এখানে অনেক সাংবাদিক উপস্থিত আছেন তারা আমাদের থেকে কম জানেন না।
তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে ঈশ্বরগঞ্জে ৩০ বছর আগের মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদ্বন্ড দেওয়া হয়েছে। সাবেক এমপি হাবিবকে ৭০ বছর কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে বিচারের নামে চলছে অবিচার। আর এ থেকে আমাদের মুক্তি পেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতিকে রক্ষা করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন। তারেক রহমান নির্বাসিত থেকেও নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সবাই মিলে আসুন এই দানবীয় সরকারকে বিদায় করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জুনায়েদ সাকিব, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপি নেতা অধ্যাপক হাসান মুর্শেদ খান, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।