হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আবেদন আগেও করা আছে; আবার নতুন করে আবেদন চাওয়াটা অমানবিক বলে মনে করেছেন দলটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সুপ্রিমকোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ড বলেছেন— খালেদা জিয়া যে সমস্যায় ভুগছেন তার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয় উল্লেখ করে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, অতএব খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশের বাইরে করাতে হবে— এটি আবেদন করার ওপর নির্ভর করছে না। এটি এখন সময় ও জনগণের দাবি। তার জীবন রক্ষার জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একটি ডিক্লিয়ারেশন আছে। সেখানে বলা আছে— যদি কোনো ব্যক্তি সাজাপ্রাপ্ত কিন্তু তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে হয়, তখন সে দেশের সরকারের দায়িত্ব বিদেশে প্রেরণ করা। সেই ডিক্লিয়ারেশনের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্স নাভালিনকে জার্মানি পাঠানো হয়েছিল উন্নত চিকিৎসার জন্য বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের পাশাপাশি বাংলাদেশ সংবিধানের ১৫ ও ৩২ অনুযায়ী— খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসায় যেতে পারবেন।
এর আগে শুক্রবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত তার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। আবেদন করলে খালেদা জিয়ার বিষয়টি দেখা যাবে বলেও জানান তিনি।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।