এই অপশাসন-ফ্যাসিবাদী শাসনের পকোটস্থ হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ। তাই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী কারাগারে সাজা প্রাপ্ত হচ্ছে আর দেশের অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশ অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমমনা পেশাজীবি গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং নিঃশর্ত মুক্তি, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও ১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ১৮ কোটি মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বাংলাদেশে তাঁর রোগের চিকিৎসা নেই। ডাক্তাররা বলে দিয়েছেন শুধুমাত্র লন্ডন আমেরিকা জার্মান ছাড়া এই লিভার সিরোসিসের চিকিৎসা সম্ভব নয়। অথচ সব নিষ্ফল আবেদন, যে সরকার ক্ষমতায়, একটি কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী সরকার যার কানে জনগণের দাবি, রাজনৈতিক দলের দাবি, গণতন্ত্রের দাবি পৌঁছায় না। সে সকলকে উপেক্ষা করে দেশের অপশাসন চালু করেছে গত ১৫ বছর ধরে। আর সেই অপশাসনের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
তিনি আরো বলেন, জনগণ জেগে উঠেছে, শুধু সময়ের অপেক্ষা। গণতন্ত্রের জন্য আমরা রক্ত দিচ্ছি প্রতিদিন, প্রাণ দিচ্ছি প্রতিদিন। গতকালকেও বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নতি চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় কোটি কোটি মানুষের সমাবেশ হয়েছে।
ঢাকায় কালকে লাখো লাখো মানুষের সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ এক দাবি তুলেছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে। অথচ আইনমন্ত্রী এক কথা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরেক কথা বলেন, তাঁদের কথার কো্নো ভারসাম্য নেই। তাদের কথা শুনে বুঝা যায় তারা উন্মাদ হয়ে গিয়েছে, পাগল হয়ে গিয়েছে।
আজম খান বলেন, আমাদের আন্দোলন চলছে আমাদের দাবি এক দফা এ সরকারকে যেতে হবে, বিদায় নিতে হবে। কারণ বাংলাদেশ একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এ সরকার অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দিবে না। তাহলে ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়ে পদত্যাগ করত। এই সরকার ১৪ এবং ১৮ এর মত একটি সাজানো নির্বাচন করতে চায়। একটি রাতের ভোটের মতো নির্বাচন করতে চায়। আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই সরকার যতই নর্দন কুর্দন করুক এবার ক্ষমতায় থাকার আর কোনো সুযোগ নেই। ১৪ এবং ১৮ এর মত ভোট করবার কোন সুযোগ নেই। ভোট হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। জনগণ ভোট দিবেন, জনগণের ভোটের অধিকার আদায় করে মাঠ থেকে যাব।
সমমনা পেশাজীবি গণতান্ত্রিক জোটের প্রধান সমন্বয়কারী মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের সহকারী সমন্বয়কারী এডভোকেট মাইনুদ্দীন মজুমদার, জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সহ-সভাপতি সেলিনা আকতার বীনা প্রমুখ।