সরকারের পতন না ঘটিয়ে রাজপথ ছাড়বেন না বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আজ দেশের অর্থনীতি খুবই খারাপ অবস্থা, রিজার্ভ নাই।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, বারবার আবেদন করা হলেও সরকার থেকে বিদেশের চিকিৎসা দিতে সুযোগ দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমি ম্যাডামকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। আমি তখন ম্যাডামকে বলে এসেছি- সারাদেশবাসী আপনাকে নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত। মানুষ আপনার জন্য দোয়া করছেন। বাংলাদেশের মানুষ নিশ্চয়ই আপনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে। ইতিমধ্যে সারাদেশে সেটা শুরু হয়ে গেছে। আমরা শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাবো।
তিনি আরও বলেন, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের খেলাপি ঋণ ছিল ২১ হাজার কোটি টাকা। আজকে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০৯ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা কে খেল, এই টাকা গেল কোথায়? আপনার টাকা, আমার টাকা, জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এই টাকা কোথায় গেল জনগণ জানতে চায়?
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের একদফা দাবিতে ঝিনাইদহ থেকে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চ শুরু করেছে বিএনপি। খুলনা শহরের শিববাড়ি মোড়ের জিয়া হল চত্বরে সমাপনী সমাবেশের মাধ্যমে রোডমার্চ শেষ হবে। রোডমার্চে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী রোডমার্চে যোগ দিয়েছেন। পথে পথে মাগুরা, যশোর সহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রোডমার্চের বহরে যোগ দেবেন।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সমাবেশে বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য সৈয়দ মেহেদী হাসান রুমী, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম আমিত, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপি স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান বক্তব্য দেন।