'এদেশ শ্রীলঙ্কায় পরিণত হবে'

, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-27 19:16:31

এ সরকার লুটপাট করে ব্যাংক খালি করেছে, কোষাগার খালি করেছে এবং বাজারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এদেশ শ্রীলঙ্কায় পরিণত হবে। বর্তমানে আমাদের দেশের রিজার্ভ ১৮ এর নিচে। পাঁচ মাস পরে এদেশে ক্ষুধার আগুন জ্বলবে বলে মন্তব্য করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দমন, নিপীড়ন, গ্রেপ্তার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগ,গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ ও পদযাত্রায় তিনি এসব কথা বলেন।  

মান্না বলেন, একটা গণতান্ত্রিক দেশে নাগরিকের ভোটের অধিকার থাকতে হবে। বর্তমান সরকার এ অধিকার নষ্ট করে দিয়েছে। পরপর দুইটা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ নিজেদের ভোট দিতে পারেনি। তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন সামনে, আমরা বলছি এইবার ভোট দিব। সরকার এবার চেষ্টা করেও মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। এ সরকার ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পরেও জনগণের কল্যাণ করতে পারেনি। তারা বলেছে ১০ টাকা করে চাল খাওয়াবে। কিন্তু মানুষ এখন মোটা চাল কিনছে ৫০ টাকা করে। আমরা বলছি ওরা মিথ্যুক! ওরা ওয়াদা দিয়ে ওয়াদা ভঙ্গ করে। তারা মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। এই সরকার অবৈধ, জুলুমবাজ, ব্যর্থ,এই সরকার খুনি। এ সরকার অনেক লোককে গ্রেফতার করেছে বিনা ওয়ারেন্টে। এখন গ্রেফতার হওয়া লোকদের কোনো খোঁজ খবর নেই।

তিনি বলেন, এ সরকার লুটপাট করে ব্যাংক খালি করেছে, কোষাগার খালি করেছে এবং বাজারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এদেশ শ্রীলঙ্কায় পরিণত হবে।  বর্তমানে আমাদের দেশের রিজার্ভ ১৮ এর নিচে। পাঁচ মাস পরে এদেশে ক্ষুধার আগুন জ্বলবে।

প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৫ বছর একাধারে ক্ষমতায় থাকার পরে এখন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। এর কারণ হলো তাঁর ছেলে। প্রধানমন্ত্রী এখন বলেন আমার ছেলের সম্পদ যদি তারা নিয়ে যেতে চায় তাহলে নিয়ে যাক! আমার প্রশ্ন হলো তারা আপনার ছেলের সম্পদ কেন নিবে? অবৈধভাবে সম্পদ তৈরি করেছেন! হিসাব দিতে পারছেন না! কত টাকা কোথা থেকে এলো সেটা বলতে পারছেন না! তারপরে আবার বলেন আমেরিকা না থাকলে কী হয়েছে বাংলাদেশ তো আছে।

নির্বাচন কমিশনকে উল্লেখ করে মান্না বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে যদি এই ডিসেম্বর এবং জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হয় তাহলে আমাদের সংবিধানের সংবিধানের খেলাপ করা হবে। আমি বলবো সংবিধান আরো ১০ কপি কিনে বাড়িতে রাখেন। যেদিন শেখ হাসিনার পতন হবে তখন এ সংবিধান ধুয়ে ধুয়ে পানি খাইয়েন। এ সরকার আর বেশি দিন থাকবার কোনো সুযোগ নেই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার,এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম,গনসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি,ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, বিপ্লবী ওয়ারকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জেএসডি'র সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর