বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শেখ হাসিনার সময়কাল শেষ হয়ে গেছে। আপনার নির্বাচন করার এখন কেউ নেই। নির্বাচন কমিশন যেসব চিঠি ইউরোপ ইউনিয়নের কাছে দিচ্ছে, এসব করে কোন লাভ হবে না। ভালো নির্বাচনের জন্য এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত ভোটের অধিকার চাই কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারছে না। ভোটকেন্দ্রে এসে তারা দেখে, তাদের ভোট আগে দেওয়া হয়ে গেছে। যে জাতি ন্যূনতম একটি ভোট দিতে পারে না সেখানে গণতন্ত্র নেই। সেখানে কোনো স্বাধীনতা নেই।সেখানে কোন অধিকার নেই। এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাবি করে বলেন আমি বাংলাদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। বাংলাদেশে কোন ভোটের অধিকার নেই এবং ভাতের অধিকারও নেই।
তিনি বলেন, সরকার বলেছে চালের দাম ১০ টাকা করে হবে। কিন্তু এখন বাজারে গেলে দেখা যায় চালের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এ সরকার যতগুলো ওয়াদা দিয়েছেন প্রত্যেকটি ওয়াদা বরখেলাপ করেছে। এই বরখেলাপের কারণে এমন একটা অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে যেখানে তার একমাত্র পথ হচ্ছে পদত্যাগ করা।
তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়াকে মুক্তি দেন এবং তারেক রহমানকে দেশে আসার সুযোগ দেন। এখন আমরা দাবি করছি বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের জন্য। হয়তো এমন সময় আসতে পারে একদিনের ভিতর যে জনস্রোত আসবে সে স্রোতে আপনারা পিসে যাবেন।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশে করে দুদু বলেন, আপনি কিসের জন্য আমেরিকা গিয়েছেন? আপনার রক্ষাকবজ তো বাংলাদেশে! আপনি বাংলাদেশে যদি সহি সালামতে ভবিষ্যতে থাকতে চান তাহলে সেটার গ্যারান্টি হলো খালেদা জিয়া। এই ন্যূনতম বিষয়টি আপনি অনুধাবন করতে পারছেন না! আপনি এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন যারা আমাদের দেশের অতিথি, যারা বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে আছে তার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অন্যতম। পিটার হাস গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন, অধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি তো মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন। তার আজকে নিরাপত্তা নেই। পিটার হাস বাংলাদেশের পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছেন। তাকে আমরা এ কথাটুকু বলতে পারি যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলবে, যারা স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলবে বাংলার জনতা তার পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। বাংলার জনতা তাদেরকে রক্ষা করবে। এটা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। কে কি বললো এতে আমাদের কিছুই যায় আসে না।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব এখন গণতন্ত্রের পক্ষে। সারা বিশ্ব এখন গণতন্ত্রের পক্ষ নিয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত কিছুদিন আগেও আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার পক্ষে ছিল। তারাও এখন একটি ভালো নির্বাচনের কথা বলছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আহসান হাবীব লিংকন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনসহ আরও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।