টাঙ্গাইল-৫ (সদর) এবং টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের বিএনপি প্রার্থীরা হামলা-মামলা, হয়রানি এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগ তথা সরকার দলীয় লোকজন বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন টাঙ্গাইলের এই দুই আসনে দলটির দুই প্রার্থী।
লিখিত অভিযোগে, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের বিএনপি প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) মাহমুদুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, 'সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার আনেহুলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়। জনসভার আগেই স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ৫০/৬০ নেতাকর্মী হামলা চালায়। এ সময় তারা জনসভার মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করে জনসভা পণ্ড করে দেয়।'
গত কয়েকদিনে একাধিক গায়েবি মামলায় বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে হামলা ও প্রচারযন্ত্র ভাংচুরসহ নানাভাবে নির্যাতন ও পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এসব ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের কাছে তাৎক্ষনিক প্রতিকার চেয়েও কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি।
নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা ও হামলা-মামলার ঘটনায় আজ রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানান টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের বিএনপি প্রার্থী মেজর জেনারেল (অবঃ) মাহমুদুল হাসান।
অপরদিকে সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের বিএনপি প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান খান আজাদ এর অভিযোগ, তার নির্বাচনী এলাকায় সরকারদলীয় কয়েক হাজার বহিরাগত সন্ত্রাসী অবস্থান নিয়েছে। এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গ্রামে গ্রামে অবস্থান নিয়ে বিএনপির সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে।
লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতাউর রহমান খানের ছেলে ও টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমান খান মুক্তিসহ অন্যান্য ফেরারি আসামিরা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান নিয়ে প্রকাশ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর ও সাধারণ ভোটারদের হুমকি প্রদর্শন করছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার বিকেল লুৎফর রহমান খান আজাদ কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণায় নামলে আসনটির হামিদপুর বাজার এলাকায় পৌঁছালে সরকারদলীয় লোকজন হামলা চালিয়ে তার গণসংযোগের একটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করে।
এছাড়াও গত কয়েকদিনে তার নির্বাচনী এলাকায় একাধিক গায়েবি মামলায় আসামি করায় বিএনপির অন্তত চারশ নেতাকর্মী ঘরে থাকতে পারছে না। দিনের বেলায় সন্ত্রাসীদের হামলা আর রাতের বেলায় পুলিশ ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, সহ-সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, আতোয়ার রহমান জিন্নাহ, মাহমুদুল হক সানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকন্দ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি তারিকুল ইসলাম ঝলক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রৌফ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাবুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।