যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানকে নাশকতার মামলার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) সমীর কুমার সরকার জানান, নাশকতার মামলার আসামি সাবেরুল হক সাবুকে শহরের দড়াটানা ও মিজানুর রহমান খানকে উপশহর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটকের পরপরই সংবাদ সম্মেলন করেছেন যশোর-৩ (সদর) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের পাশে তার সহধর্মিণী সোহানা পারভিন ছাড়া দলের কোন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত অভিযোগ করে বলেন, ‘গত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম আমার ডান ও বামে যেসব নেতাদের দেখছেন আগামী সংবাদ সম্মেলনে তাদের পাবেন কি না সংশয় আছে। সেই কথা সত্যি হলো। আজ আমার পাশে কোন নেতা নেই। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের একে একে গ্রেফতার করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) আমার নির্বাচনী গণসংযোগের গাড়ি বহর থেকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ নুরুন্নবীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ (বুধবার) জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক এড. সাবেরুল হক সাবু ও যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। ধারাবাহিক গ্রেফতার চলছে। আমি নিজে যতক্ষণ বাইরে আছি, ভোটের প্রচারণায় আছি। আমাকে দুই একদিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হলে, আমার মা ও স্ত্রী লড়াই চালিয়ে যাবে।‘
নৌকার প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘সমস্ত আয়োজন ছেড়ে আপনি একা আসুন ভোটের মাঠে, আমিও একা আসব। নির্বাচনী এলাকার যেকোনো মাঠে দুজন হাজির হব। দেখুন জনগণ কাকে বেছে নেয়। আমার আত্মবিশ্বাস আছে। জনগণ আমাকেই বেছে নেবে।‘
সংবাদ সম্মেলনে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের সহধর্মিণী সোহানা পারভিন বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাড়ির মধ্যেও নেতাকর্মীরা কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। গোটা দেশের মত যশোরেও ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে। এমনটি কেউ আশা করেনি।‘