জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কয়েকজন এবং কিছু ভাড়াটে লোক শুক্রবার বন্ধের দিন সকাল ৮ টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর কার্যালয়ের নিচ তলায় অবস্থিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রুমে ১০ থেকে ১২ মিনিট অবস্থান করেন।
পরে অফিসের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে তারা চলে যান। এই বিষয়টি নিয়ে কিছু সংবাদ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারিত হয়েছে যে, জাতীয় পার্টি অফিস কে বা কারা দখলে নিয়েছে। এই সংবাদটি অসত্য ও মনগড়া এবং বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে জাতীয় পার্টির কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল হয়েছে মর্মে একটি সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ইতিপূর্বে অব্যাহতি প্রাপ্তরা সকালে বন্ধের সময়ে কয়েক মিনিটের জন্য এসেছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, জাতীয় পার্টি সারাদেশে জি এম কাদের-এর নেতৃত্বে এক ও ঐক্যবদ্ধ আছে। কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখলের বিভ্রান্তিমূলক সংবাদে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেন। একই সঙ্গে নিজেকে জাপার চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। রওশন দাবী করেছেন তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
ওই ঘটনার পর জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, রওশন এরশাদ পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ওই পদের কোন সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই, পদটি আলঙ্কারিক পদ। জি এম কাদেরকে বহিষ্কার করে রওশন এরশাদ যে নিজেই নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন, একে আমলে নিচ্ছি না।
প্রসঙ্গত, আগামী ২ মার্চ এক তরফা জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা দিয়েছেন রওশন এরশাদ। রওশন ঘোষিত মহাসচিব কাজী মামুনূর রশীদ এদিন জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত এরশাদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।