পটুয়াখালী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের এমএলএসএস আবদুস সালামকে মারধর ও কলেজের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন সিকদার ওরফে কলোনি আল আমিনের বিরুদ্ধে।
২০২৩ সালে পটুয়াখালী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের অনুসারী আল আমিন সিকদার নিজেকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দাবি করে আসছেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে কলেজের কলা ভবনের ৩য় তলায় বাংলা বিভাগের অফিস কক্ষে এই মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ছাত্র কর্তৃক অফিস স্টাফকে মারধরের ঘটনায় অধ্যক্ষ’র রুমে তাৎক্ষনিক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেন শিক্ষক পরিষদ নেতাসহ জেলা ছাত্রলীগের নেতারা। এ নিয়ে আলোচনা হলেও আল আমিন কাউকেই পরোয়া করেন না বলে সভা থেকে উঠে যান।
আল আমিন ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র। এর আগেও কলেজের বেশ কয়েক শিক্ষক এবং স্টাফদের লাঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আল আমিন সরকারি কলেজ এলাকায় তার বাসা থাকলেও তিনি পটুয়াখালী সরকারী কলেজ হোস্টেলে ৩০৩ নম্বর রুম দখল করে একাই বসবাস করছেন।
তারি বিরুদ্ধে সেখানে নিয়মিত মাদকের আসর বসানোর অভিযোগ রয়েছে।
বাংলা বিভাগের এমএলএসএস আবদুস সালাম বলেন, সকালে আল আমিন তার অনুসারীরা ছাত্রকে নিয়ে আমার কাছে কয়েকজনের রোল নম্বর জানতে চায়। এ সময় আমি বলি রোল নম্বর দিতে হলে স্যারদের পারমিশন লাগবে, তার সামনেই আমি স্যারকে ফোন দেই এতে করেই সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে প্রথমে গালাগাল এবং এক পর্যায়ে আমাকে মারধর শুরু করে। আমি আমার শিক্ষকদের জানিয়েছি। তারা এ বিষয় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করবে।
এ বিষয় জানেত চাইলে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে আমি আজ কোন মন্তব্য করবো না। আমার শরীরাটা আজ ভালো নেই। আপনারা আগামীকাল আসুন।
সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সচিব জাফর ইকবাল বলেন, একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা প্রিন্সিপ্যাল স্যারের সাথে এ নিয়ে বসেছি। ছাত্র নেতাদের সাথে কথা বলছি। আশা করছি দ্রুত একটি সমাধান মিলবে।
এ বিষয় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কারো উপর হামলা করিনি। এটা মিথ্যা। কলেজ হোস্টেলে তিনি একা একটি রুম বরাদ্দ নিয়ে থাকছেন কেন এমন প্রশ্নে আল আমিন বলেন, আমি যে রুমটিতে থাকছি সেটি কলেজ সভাপতির রুম। এ কারণে আমি একাই টাকা দিয়ে থাকছি।