হিতাহিত জ্ঞান হারিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 22:02:54

নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হবার পর বিএনপি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, 'গতকাল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রেস কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি ইঙ্গিত করে অনেক বিষোদগার করেছেন। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হবার পর হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। এবং তাদের মহাসচিব ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য সেটি উঠে এসেছে। এজন্য তারা অসংলগ্ন কথা বলছেন।'

সোমবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'বরাবরের মতই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিএনপি নেতারা অনেক বক্তব্য রেখেছেন। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির ভালো করেই জানত ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে। সে কারণেই তারা নির্বাচনী প্রচারণাটাও ঠিকভাবে করেননি। তারা তিনশ আসনে ৮০০ নমিনেশন দিয়েছিল। এর মাধ্যমে নমিনেশনে তারা তাদের যে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রয়েছে সেটিকে প্রতি আসনে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে এবং তাদের যে দ্বন্দ্ব ছিল অনেক জায়গায় সেটিকে উস্কে দিয়েছে।'

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে এই নির্বাচনের মতো শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাংলাদেশ ইতোপূর্বে হয়নি। পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি নির্বাচনে পুলিশের উপরে হামলা হয়। পুলিশের অনেকে আহত হয়। অনেকে নিহত হয়। কিন্তু এই নির্বাচনে কোন পুলিশ আহতও হয়নি। নির্বাচন ছিল উৎসবমুখর।'

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'আমি রিজভী আহমেদকে বলব, যে প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বকে তুলে ধরার চেয়ে বরং আপনাদের উচিৎ এই নির্বাচনে কেন আপনারা এভাবে পরাজিত হলেন, সেই বিশ্লেষণ করা। কী কারণে আপনাদের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় নামলেন না সেটি বিশ্লেষণ করা, কোন কোন নেতা নির্বাচনে নমিনেশন বাণিজ্য করেছিল তাদেরকে দলীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এরপর আপনাদের দলকে সংগঠিত করা উচিত। আমরা চাই দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক। বিএনপি'র এমন পরাজয় আমরাও আশা করিনি। কিন্তু বিএনপি নিজের কারণে এ ধরনের শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে। তাই আমি রিজভী আহমেদসহ তাদের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানাবো যে নাচতে না জানলে উঠান বাঁকার মতো বক্তব্য না দিয়ে বরং আপনাদের পরাজয়ের কারণগুলো বিশ্লেষণ করুন এবং দলকে সুসংগঠিত করুন।'

নবম ওয়েজ বোর্ড প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'নতুন সরকার গঠন হওয়ায় ওয়েজবোর্ডেরর জন্য মন্ত্রিসভার যে কমিটি গত সরকারের সময় কাজ করেছে, সেটি স্বাভাবিকভাবেই নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর সেই কমিটি নিয়ে কাজ করা যায় না। যদিও একই দল ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু সরকার কিন্তু নতুন মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর নতুনভাবে শপথ গ্রহণ করেছেন সুতরাং কমিটিগুলো পুনর্গঠন করতে হয়। সে কারণে আমরা দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে কমিটি নতুনভাবে গঠন করার যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটি প্রধানমন্ত্রী প্রথম বৈঠকেই অনুমোদন করেছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শীঘ্রই কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। সেখানে টেলিভিশন সাংবাদিকদের যে প্রস্তাব আছে আমরা মনে করি সেটা হওয়া প্রয়োজন, সেগুলো সেখানে আলোচনা করব।'

অনলাইন গণমাধ্যমে নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, 'অনলাইনের জন্য আমরা নীতিমালা করেছি। এই নীতিমালার আলোকে সবকিছু করা হবে। একটু সময় লাগবে। যেহেতু আমি নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছি। আমাদের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। অনলাইনে জন্য নীতিমালা যেহেতু রয়েছে সুতরাং নীতিমালার আলোকে নিবন্ধন শুরু করার জন্য সকলের সহযোগিতা চাই।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর