একটা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব যদি সৎ হয় ঐ মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধিরা যদি সৎ থাকি তাহলে দুর্নীতিবাজরা পালিয়ে যাবে। আমাদের জনপ্রতিনিধিদের সৎ মানুষ হিসেবে থাকতে হবে।
বুধবার (৩ জুলাই) বিকালে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ উদ্যোগে দলটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা খেলবো। বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত গড়তেই হবে। শেখ হাসিনার অঙ্গীকার আমরা অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করে ছাড়বো।
রিজার্ভ বেড়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ বেড়ে যাচ্ছে না? ২৭ এ পৌঁছে গেছে। রিজার্ভ বেড়ে যাচ্ছে ভয়ের কারণ নেই। রেমিট্যান্স বেড়ে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ শেখ হাসিনার চেষ্টায় জিনিসপত্রের দামও কমে আসবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন স্বাধীনতা, তার কন্যা শেখ হাসিনা এসেছেন দেশের মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য। পিতা দিয়েছেন স্বাধীনতা কন্যা দিবেন মুক্তি। সে মুক্তির সংগ্রাম দেশে চলছে। ২০৪১, তারপর ২১০০ সাল, শেখ হাসিনার টার্গেট অনেক লম্বা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা অবধি তিনি যতদিন বেঁচে আছেন তার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম-লড়াই চালিয়ে যাবো।
মঞ্চে নেতাকর্মীদের ভিড়ের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মঞ্চে অনেকেই আছেন তবে আজকে একটু কম। মঞ্চে গেলেই সব নেতা। আতি নেতা, পাতি নেতা, সিকি নেতা, হায়রে নেতা! কেউ কর্মী থাকতে চায় না।
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, বিএনপি নিয়ে আসছে বাইডেনের উপদেষ্টা মিয়া আরেফিনকে। বাইডেনের উপদেষ্টা বলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে ইংরেজিতে। পরে দেখা গেলো পালিয়ে গেলো সব, মিয়া আরেফিনও চলে গেলো এয়ারপোর্টে দেশের বাইরে যাবে বলে। পুলিশ গিয়ে ধরে ফেললো, দিলো ডান্ডা বাড়ি। পুলিশের ডান্ডা বারিতে আর ইংরেজি বলে না। এখন বলে বরিশালের বাংলা।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকার সব উপজেলায় যাবেন জানিয়ে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হলে আওয়ামী লীগের ইঞ্জিন শক্তিশালী করতে হবে। সেই ইঞ্জিন হলো ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ। সেজন্য আবারও আমরা জনতার কাছে মিনীত হবো। অক্টোবর থেকে আমাদের নেত্রী সারাদেশ সফর করবেন। নেত্রীর জন্য দোয়া করবেন।
নিজের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, আমি তো মরেই গেছিলাম, আপনাদের দোয়ায় বেঁচে আছি। দোয়া করবেন যেনো মানুষের খেদমত করতে পারি। যেনো কোন দিন খারাপ কাজ না করি। মন্ত্রী হয়ে যেনো ক্ষমতার অপব্যবহার না করি। মন্ত্রী হয়ে যেনো দুর্নীতি না করি। মন্ত্রী হয়ে যেনো লুটপাট না করি। আপনারা দোয়া করবেন, সে বদনামের ভাগিদার হতে চাই না।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজির আহমদ ও সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামা তরুন।